পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যাত্রীদের দুর্ভোগ চলতি বছরের মার্চ নাগাদ সম্পূর্ণভাবে শেষ হতে যাচ্ছে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। গত কয়েক বছরে মহাসড়কটিকে ঘিরে চারলেন সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল নিয়মিত ঘটনা। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙাচোরা ও সড়কজুড়ে পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রীর জন্য দূরপাল্লাসহ আশপাশের যাত্রীদের যানজটের কারণে মহাসড়কে কেটেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এবার স্বস্তি পেতে যাচ্ছেন উত্তরাঞ্চলসহ এই পথের যাত্রীরা। ইতোমধ্যেই চার লেন এই মহসড়কের কাজ প্রায় ৯৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক জানান, চলতি বছরের মার্চেই প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের এপ্রিলে একনেকে অনুমোদিত হয় জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। তখন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭৮৮ কোটি। বাস্তবায়ন কাল ছিল ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ করতে না পারা, অদূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা এবং নতুন কিছু অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় প্রকল্পটির ডিপিপি এখন পর্যন্ত চারবার সংশোধন করা হয়েছে। ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের মেয়াদ বেড়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।
মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্প জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক (এন-৪) চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে। চার লেন মহাসড়ক ছাড়াও ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটির দুই পাশে নির্মিত হচ্ছে আরো দুটি লেন। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নয়ন, ৫৩টি সেতু ও ৭৬টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, নয়টি ফ্লাইওভার, দুটি রেলওয়ে ওভারপাস এবং ছয়টি ফুটওভারব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে।
চারটি ভাগের মধ্যে গাজীপুরের ভোগরা বাজার ইন্টারচেঞ্জ থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার বাস্তবায়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার কায়রইঙ ও বাংলাদেশের স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের জয়েন্ট ভেঞ্চার। টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার বাস্তবায়ন করছে মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং ও বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেডের জয়েন্ট ভেঞ্চার। দুল্লামারি রোড থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার বাস্তবায়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান ও বাংলাদেশের মীর আখতার লিমিটেডের জয়েন্ট ভেঞ্চার। আর টাঙ্গাইল-এলেঙ্গার ১০ কিলোমিটার বাস্তবায়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিসিএল ও বাংলাদেশের ডিয়েনকো লিমিটেডের জয়েন্ট ভেঞ্চার।
সরেজমিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, প্রকল্পটির বেশির ভাগ স্থাপনার নির্মাণ কাজ শেষ। আগের দুই লেনের সরু সড়কের বদলে এখন মোট চারটি সড়ক। মাঝের দুটি দিয়ে দ্রুতগতির যান চলাচল করছে। আর পাশের দুই সড়ক তথা সার্ভিস লেনে তুলনামূলক কম গতির যানবাহন চলছে। সড়কের মাঝে ইস্পাতের পাত দিয়ে রেলিং দেওয়া হয়েছে। সড়ক ডিভাইডারে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ফুলের গাছ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ইউটার্নের ব্যবস্থা না থাকলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল ফোর লেনে ইউটার্ন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। প্রকল্পটির যে অংশগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে সেখানে দিনরাত শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকল্প কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত ৬৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নয়ন, ২৬টি সেতু ও ৭২টি বক্স কালভার্ট, চারটি ফ্লাইওভার, দুটি রেলওয়ে ওভারপাস এবং ১১টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে ভৌত অগ্রগতি ৯৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
চার লেন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসহাক বলেন, আমাদের প্রকল্পের ফিজিক্যাল অগ্রগতি ৯৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এখন তিনটি উড়াল সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। এর মধ্যে দুটির র্যামের কাজ চলছে আর অন্যটির সøাবের কাজ চলছে। আগামী মার্চেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।
সওজ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমি যতদূর জানি একটি ফ্লাইওভারের কাজ কিছুটা বাকি আছে, যা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। আমরা চলতি বছরের মধ্যে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতের কাজ সম্পন্ন করতে পারব। পাশাপাশি এ বছরের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো সড়কটি উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।