বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ হচ্ছে খুলনা জেলায়। প্রতিদিন আক্রান্তের শতকরা হারা ৩৫ থেকে ৪০ এ উঠানামা করছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ভ্রাম্যমান আদালত, প্রচার প্রচারণাসহ প্রয়োজনীয় সব ধরণের পদক্ষেপই নেয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ব্যাপক অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে, সামান্য জ্বর কাশি হলেই বিধি অমান্যকারীরা আতংকে ছুটছেন হাসপাতালে। করাচ্ছেন করোনা টেষ্ট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষই নগরীতে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। হোটেল রেস্টুরেন্টে খেতে টিকার কোনো সনদ লাগছে না। মোড়ে মোড়ে জটলা। সারাদিনই চায়ের দোকানগুলোতে জমজমাট আড্ডা। গণপরিবহণগুলো সিট ক্যাপাসিটির অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চলছে। এক কথায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধি সেভাবে মানা হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহে স্বাস্থ্যবিধি না মানায়, দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা। তবু বাড়ছে না সচেতনতা।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও সামান্য জ্বর কাশি হলেই মানুষ হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন করোন টেষ্ট করাতে। এ কারণে পিসিআর ল্যাবগুলো জট লেগে আছে। গত ৩০ জানুয়ারী ৬১৪, ২৯ জানুয়ারী ৩১৪, ২৮ জানুয়ারী ৬৫১, ২৭ জানুয়ারী ৭৩০, ২৬ জানুয়ারী ৭৫৮ জন সর্দি জ্বর নিয়ে করোনা টেষ্ট করতে আসেন। এই ৫ দিনে ৩ হাজার ১৬৭ টি নমুনার মধ্যে ১ হাজার ৭২৭ জনেরই করোনা নেগেটিভ এসেছে। কাজেই দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই না থাকলেও করোনা আতংক তাদের রয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলায় করোনার সংক্রমন হার ও মৃত্যু হার বেশি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। তিনি সবাইকে টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।