২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
অটোমাইকোসিস বহিঃকর্ণের ইনফেকশন যা ছত্রাক বা ফাংগাস দিয়ে হয়। এটা সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে হয় গরম এবং উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে। দুই ধরনের ছত্রাক দ্বারা এটি হতে পারে। যেমন -এসপারজিলাস্ নাইজার (অংঢ়বৎমরষষঁং হরমবৎ) এবং ক্যানডিডা অ্যালবিকান্স (ঈধহফরফধ ধষনরপধহং)। সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, পুষ্টিহীনতা ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের অটোমাইকোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
উপসর্গসমূহ
এ রোগে কানে প্রচ- চুলকানি, কানে ব্যথা-যদি ফাংগাসের সাথে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন হয়, গন্ধযুক্ত পানির মত নিঃস্বরণ হয়। ফাংগাল ডেব্রিস ও পূঁজ জমা হয়ে কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং কানে কম শুনতে পারেন।
অনেকের দিয়াশলাই এর কাঠি, মুরগির পালক, চুলের ক্লিপ, কটন বাড ইত্যাদি দিয়ে কান খোঁচানোর অভ্যাস আছে। এতে করে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে কানে ব্যথা বা কান পাকা রোগ হতে পারে। রাস্তায় ফুটপাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেক কান পরিষ্কার করেন অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়।
কান পরীক্ষা করলে-
ভিজা নিউজপ্রিন্ট পেপারের মতো জিনিস কানের মধ্যে দেখা যায় যা, এসপারজিলাস্ নাইজার (অংঢ়বৎমরষষঁং হরমবৎ) এর সংক্রমণ হলে কালো, ক্যানডিডা অ্যালবিকান্স (ঈধহফরফধ ধষনরপধহং)-এর সংক্রমণ হলো সাদা এবং উভয় প্রকারের সংক্রমণ হলে মিশ্র রঙের হয়। বহিঃকর্ণ ফুলে যেতে পারে, লাল হয়ে যেতে পারে বা খুশকির মত চামড়া উঠতে পারে।
চিকিৎসা ও উপদেশ
উক্ত রোগের সঠিক চিকিৎসা হলো ইএনটি বিশেষজ্ঞ দ্বারা কান ভালোভাবে পরিষ্কার করা, যাতে করে কানের মধ্যে ফাংগাল ডেব্রিস্ না থাকে। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিফাংগাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। নিজে নিজে কান পরিষ্কার করাটাও এই রোগের একটি অন্যতম কারণ। তাই নিজে নিজে কান পরিষ্কার করবেন না। এজন্য রোগীর উচিত লক্ষণগুলো বোঝার সাথে সাথেই নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে সঠিক চিকিৎসা করানো।
কানে যাতে ময়লা পানি না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ছত্রাক খুব দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে এবং কর্ণকুহুরী বন্ধ করে দেয়। ডায়াবেটিস থাকলে তা চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে, যাতে করে ফাংগাল ইনফেকশন না হয়।
আপনার নিকটস্থ নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা এবং পরামর্শ নিলে অটোমাইকোসিস সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
অধ্যাপক ডাঃ এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
রোড ৮, ধানমন্ডি, ঢাকা, ০১৯১৯ ২২২ ১৮২
ই-মেইল : ধষধসমরৎ.পযড়ফিযঁৎু০৭@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।