Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ন্যাটোর সঙ্গে একমত নয় ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ পিএম

ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তপ্ত ইউরোপ অঞ্চল। এর জেরে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা অনেকের। কিন্তু, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক পশ্চিমা নেতার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত নন ইউক্রেনের নেতা এবং তাঁর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগীরা। পুতিনের উদ্দেশ্যকে তারা ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন। আট বছর ধরে রাশিয়ার লাগাতার উসকানি এবং পূর্ব ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন কি নির্বিকার হয়ে পড়েছে, না-কি তারা রুশ প্রতিপক্ষের মতিগতি ঠিকমতো বুঝতে পারছে না?—এমন প্রশ্নও এখন উঠছে।

সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ওয়াশিংটন ও লন্ডন এরই মধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে যে, পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেবেন এমন আশঙ্কা বেশি। হোয়াইট হাউস বলছে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েক সপ্তাহ ধরে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন যে, রাশিয়া আগামী মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। বাইডেন গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে ফোনালাপেও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অনুপ্রবেশ বন্ধের ব্যাপারে তিনি ‘আশাবাদী নন’। বার্লিন সফরের সময়ে বিবিসিকে তিনি বলেন, এখনও ‘সুযোগ’ আছে আক্রমণ থামানোর, তবে একই সঙ্গে বলেন, ‘আমি আশাবাদী নই।’

পশ্চিমা শক্তিগুলোর শঙ্কা অমূলক ও অহেতুক—এমন অভিযোগ রাশিয়ার। ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রস্তুতির কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিন বলছে—ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা সমাবেশ করা হয়েছে শুধু মহড়ার জন্য।

কিন্তু, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি মনে করছেন—মস্কো সরাসরি আক্রমণ করবে না। তাঁর ধারণা—রাশিয়া এক দশক ধরে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে যে কায়দায় মানসিক ও হাইব্রিড যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে, এবারও এমন কিছুই তারা করবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান ইস্যুতে আগামী বুধবার বৈঠকে বসছে ইউক্রেন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল নিয়ে আবারও আলোচনা করার জন্য ‘নরম্যান্ডি ফরম্যাট’ নামের এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ডনবাস অঞ্চলের প্রায় অর্ধেকটা দখল করে রেখেছে রাশিয়া ও সশস্ত্র স্থানীয় সেনারা।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে চলমান ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সংকট নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন এবং বাইডেনের সঙ্গে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের বিষয়ে তাঁর কাছে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় জেলেন্সকি ইউক্রেনের অর্থনীতি নিয়ে তাঁর উদ্‌বেগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, একটি আসন্ন আক্রমণের যে রব উঠেছে, তা ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ