বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রী লেখা ব্যানারে নেতাদের সাথে বৈঠক বলেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সিলেটে। সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন মন্ত্রী। কিন্তু ব্যানারে লেখা ছিল নেত্রীবৃন্দের সাথে মতবিনিময়। এনিয়ে কানাঘুষো চলছে সিলেটে। ভুলের একটা মাত্রা আছে কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের একটি মতবিনিময় সভায় এরকম ভুল সৃষ্টি করেছে নানা প্রশ্নের খোরাক।
এ বৈঠকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে নানাভাবে। অপপ্রচারের জন্য ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তাই আমাদের নেতাকর্মীদের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করা এবং সরকারের উন্নয়ন বেশি বেশি করে ফেসবুকে তুলে ধরা। অথচ সরকারী দলীয় স্থানীয় নেতাকর্মীরা একটি ভুল শব্দের ব্যানারে মতবিনিময় করলো, যেই ভুল চোখে পড়লো না তাদের। এই নেতাকর্মীরা কিভাবে বিএনপির অপপ্রচারের জবাব দেয়ার সামর্থ্য রাখবে, এমন প্রশ্ন অনেকের। যোগ্যতা না অযোগ্যতা সবই এখন বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের মতে সচেতনভাবে এই ভুল না করলেও এই ভুলে অনেক বিষয়কে ইংগিত করছে। বিশেষ করে মনোযোগ।
এমনকি সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রটোকল শাখার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সফরসূচির যে তালিকা প্রদান করা হয়, সেখানে ‘নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়’ বাক্যাংশের স্থলে লিখা ছিল ‘নেত্রীবৃন্দের সাথে মতবিনিময়’! কেবল ওই সূচিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ভুল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভার ব্যানারেও ছিল দৃষ্টিকটু এই ভুল। ‘নেতৃবৃন্দের’ না লিখে ‘নেত্রীবৃন্দের’ লেখার কারণে ব্যানারের অর্থই পাল্টে যায়। এনিয়ে অনেককে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক এই ভুলের সংশোধন করা সম্ভব হয়নি বলে ব্যানারও পাল্টানো হয়নি। ভুল বাক্য আর ভুল অর্থের ব্যানার নিয়েই মন্ত্রী মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রটোকল শাখার কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এটাকে সংশ্লিষ্টদের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে দায় নিতে কেউ রাজি নয়। মতবিনিময় সভার মন্ত্রীর দুই পাশে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বসা ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।