পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে প্রায় তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরও আগে আড়াই মাস ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু বর্তমানে এই প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের শারীরিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে জানেন না জাতীয় পার্টির নেতারা।
অভিযোগ রয়েছে, রওশন এরশাদের সঙ্গে ব্যাংককে আছেন তার ছেলে সাদ এরশাদ। তিনি জাতীয় পার্টির নেতাসহ রওশন এরশাদের সরকারি ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে খুব বেশি আগ্রহী নন। তবে মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও মায়ের শারীরিক অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে খুব বেশি জানাতে উৎসাহ দেখান না তিনি। ফলে রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র দেশে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মী ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের কাছে নেই।
রওশন এরশাদের চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার সরাসরি কোনো খবর আমি জানি না। কারণ তার সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই। ব্যাংককে আছেন। সাদ এরশাদ যদি ফোন করে, তখন জানি। ৮-১০ দিন আগে আমাকে ফোন করেছিল। অবস্থা একটু ভালো। এরপর আর কোনো ফোন পাইনি। খবরও জানি না।
তিনি আরও বলেন, সত্য কথা বলতে কি, তার প্রতিদিনের সংবাদটাও পাচ্ছি না। সাদ এরশাদ যোগাযোগ না করলে আমাদের যোগাযোগ করার সুযোগ নেই। এজন্য আমরাও একটু উদ্বেগে আছি। দেখি কয়েক দিনের মধ্যেই উনার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করব। দলে তার যথেষ্ট অবদান আছে। পার্টির সৃষ্টিলগ্ন থেকে ওনার অবদান। দুঃসময়ে অবদান আছে। তার অবদানের শেষ নেই।
এ ব্যাপারে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম দিকে তার সম্পর্কে কিছু খবর পেলেও এখন তিনি কেমন আছেন তা বলতে পারব না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার যে মাধ্যম সেখান থেকেই যোগাযোগ করা হচ্ছে না।
অন্য প্রেসিডিয়াম সদস্য লোটন সিকদার বলেন, রওশন এরশাদ হাসপাতালে আছেন, এটুকুই জানি। ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আছেন। কেবিনে দিয়েছে। এর বেশি জানি না।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মামুন হাসান। তার কাছে রওশন এরশাদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি নিজেই গত কয়েক দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত। সাদ এরশাদের সঙ্গেও আমার কথা হচ্ছে না। এ কারণে উনার (রওশন এরশাদ) বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের নিজেও গত ১৫ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) তিনি করোনামুক্ত হন। তার কাছে রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্যাংককের হাসপাতালের চিকিৎসকদের মোবাইল নম্বর তো আমার কাছে নেই। ফলে, চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ করাও সম্ভব নয়। তবে আমার সঙ্গে সাদ এরশাদের কথা হয়। রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও সেটা খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। বয়স ও অন্যান্য রোগ মিলিয়ে তার শারীরিক উন্নতির অবস্থা খুব বেশি স্থিতিশীল নয়।
এদিকে, জাপার নেতারা অভিযোগ করেছেন, জাপা এখন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল। সে হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকেও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের এ শীর্ষ নেতার চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না।
দলের নেতারা আরও জানান, গত বছর থেকেই রওশন এরশাদ বার্ধক্যজনিত নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন। তখন প্রায় আড়াই মাস তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২০ অক্টোবর থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তার ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ৫ নভেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নেওয়া হয়। রওশন এরশাদের বয়স ৭৮ বছর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।