মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে তখন জারি লকডাউন। নিষিদ্ধ সমস্ত ধরনের পার্টি। অথচ সেই সময় খোদ প্রধানমন্ত্রীই নিজের বাড়িতে বসে ওয়াইন পার্টি করছিলেন! একটি ছবিতে তেমন দৃশ্য দেখে প্রবল ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ জনতা। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। গতবছরের সেই ঘটনায় চাপ আরও বাড়িয়ে বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চান তারই দলের এমপিরা।
গতবছরের মে মাসে ব্রিটেনে কোভিড বিধি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির খবর প্রকাশ্যে আসে। একাধিক ছবিতে দেখা যায় মহামারী আবহে নিজের বাসভবনে দিব্বি ওয়াইন উল্লাসে মেতে উঠেছেন বরিস ও তার অতিথিরা। যেখানে সরকারের তরফে সকলকে বাড়িতে থাকতে ও যে কোনও পার্টি থেকে দূরে সরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী কী করে এমন করতে পারেন প্রশ্ন তোলেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। দেশজুড়ে বয়ে যায় প্রবল সমালোচনার ঝড়। কার্যত মুখ পোড়ে শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টির। এবার তাদেরই বেশ কয়েকজন বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চান।
ব্রিটিশ আইন অনুসারে, শাসকদলের অন্তত ১৫ শতাংশ এমপি যদি তাদের দলীয় নেতা অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন, তা হলে তা পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য গ্রাহ্য হবে। কতজন এমপি আপাতত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারি যে জনসনের রাজনৈতিক জীবনে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তা স্পষ্ট। আর দলের অন্দরেই সমর্থন হারালে তার প্রধানমন্ত্রীর আসন চলে যাতে পারে বলেই আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালীন ব্রিটেনে যাবতীয় নিয়মভঙ্গের বিষয়টি এই মুহূর্তে তদন্তের আওতাভুক্ত। বর্ষীয়ান আমলা স্যু গ্রে এর তদন্ত করছেন। মুখরক্ষা তৎপর হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বরিস আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছেন নিজের কীর্তির জন্য। এদিকে, বরিস ক্ষমতাচ্যুত হলে তার বদলে ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে কে প্রবেশ করবেন, তা নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। খানিকটা প্রথা ভেঙে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক! তিনি এই মুহূর্তে সেখানকার চ্যান্সেলর। এ নিয়ে আপাতত সরগরম ব্রিটিশ রাজনীতি। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।