পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে সুন্দর এবং নিবীড় সম্পর্ক থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, একজন ছাত্রকে শিক্ষক শুধু একাডেমিক পাঠদানই করেন না, বরং বাস্তবজীবনে অনেক দিক নির্দেশনাও দিয়ে থাকেন। আবহমান কাল থেকেই ছাত্র-শিক্ষকদের এমন নিবিড় সম্পর্ক ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুঝা যায়, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আসলে কাক্সিক্ষত অবস্থানে নেই। ছাত্ররা তাঁর শিক্ষকদের সম্মান করবে এবং শিক্ষকরা ছাত্রদের সন্তানের মতো দেখবে এটাই স্বাভাবিক। ছাত্র ভুল করলে শিক্ষক সে ভুল সংশোধন করে দেওয়ার জন্য কৌশলে তাকে বুঝাতে পারে এবং শিক্ষক ভুল করলে ছাত্রছাত্রীরা তাকে ভদ্রভাবে, বিনয়ের সাথে ভুলটা ধরিয়ে দিতে পারে। বাস্তবতা যদি এমনই হতো, তাহলে দেশের স্কুল, কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতো না। পাবলিক কিংবা প্রাইভেট অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে শিক্ষকদের হাতে ইনকোর্স, প্রাকটিক্যাল নম্বর থাকে, কখনো শাস্তিস্বরূপ শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেওয়া হয়। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষক আছেন যাদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে, টেস্ট পরীক্ষাতে ফেল করিয়ে দেয়া হয়। যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ তারা হয়তো এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি বেশি হয়। পক্ষান্তরে, কিছু ছাত্রছাত্রী আছে, যারা সারাক্ষণ আড্ডা এবং অনলালাইনে সময় কাটায়, ঠিকমত লেখাপড়া করে না, তাদের ফেল করিয়ে দিলে আবার শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়। যেটি নিয়মবহির্ভূত কাজ। সুতরাং ছাত্র-শিক্ষক সবাই যদি নিয়ম-কানুন ও নীতি-নৈতিকতা মেনে চলে তাহলে, আমরা আবারও সেই সোনালি দিনের আলোয় আলোকিত হবো, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তাই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
মো. আব্দুল করিম গাজী
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।