মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স্পেনের ক্যানারি দ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় জীর্ণশীর্ণ একাধিক নৌকা থেকে তিন শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সমুদ্র উদ্ধার সেবা বিভাগ। দ্বীপে পারাপারের চেষ্টার সময় অন্তত আরও ১৮ জন অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেছেন। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে নয়জন একটি ডুবন্ত প্রায় নৌকায় কোনো রকমে ভেসে ছিলেন।
স্প্যানিশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এখন পর্যন্ত কারও ডুবে যাওয়ার তথ্য পাননি। আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার সংস্থা প্রথমে স্পেনের নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিবাসীদের ওই নৌকার খোঁজ দিয়েছিল।
অভিবাসন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ওয়াকিং বর্ডারসের প্রতিষ্ঠাতা হেলেনা মালেনো মনে করেছেন, আফ্রিকা থেকে ল্যানজারোট দ্বীপে পারাপারের চেষ্টার সময় অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারান। যদিও প্রাণহানির ওই সংখ্যা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে দেশটির উদ্ধার সেবা বিভাগ জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়টি নৌকা থেকে ৩১৯ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি নৌকাতেই ছিলেন ১২০ জনের মতো মানুষ। অভিবাসীদের উদ্ধারের পর ল্যানজারোট দ্বীপ এবং গ্রান ক্যানারিয়া দ্বীপে পাঠানো হয়।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রয়টার্সের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে লাল কম্বলে মোড়ানো কয়েক ডজন অভিবাসী একটি উদ্ধারকারী নৌকায় করে আর্গুইনগুইন বন্দরে পৌঁছেছেন। এ সময় প্রতিরক্ষামূলক পোশাক এবং মুখোশ পরিহিত জরুরি কর্মীরা অভিবাসীদের বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করেন।
উদ্ধারের পর গর্ভবতী এক নারী ও এক শিশুসহ মোট ১০ জনকে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। যদিও তাদের মধ্যে কেউই ঝুঁকিতে নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী অভিবাসীদের প্রাথমিকভাবে মূল গন্তব্য হয়ে উঠছে পশ্চিম আফ্রিকা উপকূলের বিভিন্ন দ্বীপ। তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
গত বছর প্রায় ২২ হাজার ৩১৬ জন অভিবাসী অবৈধ পথে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপে পৌঁছান। যদিও তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ২৭১। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকের মধ্যে এ ধরনের সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়ার হিসাবে ২০২১ সাল ছিল অন্যতম ব্যস্ততম পথ।
ওয়াকিং বর্ডারস জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ২০৫ শিশুসহ গত বছর চার হাজার ৪০০ জনের বেশি অভিবাসী স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় সমুদ্রে হারিয়ে গেছেন; যা ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও অধিক। সূত্র : রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।