Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়ছেন তামিম!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০২০ সালের মার্চের পর থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলেননি তামিম ইকবাল। চোটের কারণে গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেননি এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি এ ব্যাটসম্যান। তবে এবার সেই প্রশ্নে যতি চিহ্ন এঁকে দিলেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভপতি জানালেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর খেলতে চান না তামিম। এমনকি, ফেরার জন্য জোর না করতেও বোর্ড প্রধানের কাছে অনুরোধ করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার!
গতপরশু রাতে বিপিএলের ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেটি নিশ্চিত করে দিলেন বিসিবি সভাপতি, ‘ওর (তামিম) সাথে আমি কথা বলেছি। বলতে গেলে... ওকে বলেছিলামও, তুমি আবার টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসো। এটা ছাড়বে কেন? তুমি আমাদের সেরা ওপেনার। অবশ্যই তোমার থাকা উচিত। টেলিফোনে কথা হয়েছিল। ও আমাকে বলেছে, “আপনি আমাকে জোর করবেন না। আপনি বললে তো আমাকে আসতেই হবে। কিন্তু আমি আসলে এই ফরম্যাটে খেলতে চাই না”। এটা বলার পর আমার মনে হয়েছে, ওকে আর কিছু বলা উচিত না। কেউ যদি খেলতেই না চায়, তাকে জোর করে একটা ফরম্যাটে খেলানো ঠিক না।’

তামিমের কাছ থেকে সরাসরি কিছু না জানা গেলেও সাম্প্রতিক সময় জাতীয় দলের জার্সিতে এই ফরম্যাটে তার খেলা এড়িয়ে যাবার প্রবণতা ছিল চোখে পড়ার মতো। হাঁটুর চোটের কারণে তামিম মাঠের বাইরে ছিলেন প্রায় দুই মাস। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি হাঁটুর চোটের জন্য। দলে নিয়মিত না থাকায় গত ১ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে বিবেচনা করা হয়নি চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকায়। তবে হাঁটুর চোট থেকে সুস্থ হয়ে নেপালের এভারেস্ট টি-টোয়েন্টি খেলতে যান তামিম। সেখানে গিয়ে পান আঙুলে চোট। সেই চোটের কারণেই মূলত খেলেননি ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজেও।

স¤প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ দিয়ে ফেরেন তামিম। এরপর খেলছেন চলতি বিপিএলেও। মিনিস্টার গ্রæপ ঢাকার হয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই করেছেন ফিফটি। তামিমের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেছেন, ‘তামিম ভালো খেলছে। ও তো সব সময়ই ভালো খেলে। ইনিংস আরও বড় করা উচিত। ফিফটি হয়ে গেলেই মারমুখী হতে যাচ্ছে, আউটও হয়ে যাচ্ছে। ইনিংস আরও বড় করা উচিত, কারণ ও সত্যিই অনেক ভালো খেলছে।’ এমন ফর্মে থাকার পরও কেই খেলতে না চাইলে জোর করে বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলানোর পক্ষপাতি নন নাজমুল, ‘কেউ যদি খেলতেই না চায়, তাকে জোর করে একটা ফরম্যাটে খেলানো ঠিক নয়।’

তামিম তার ৭৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সবশেষটি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের হয়ে তার ম্যাচ ৭৪টি, রান করেছেন ২৪.৬৫ গড়ে ১ হাজার ৭০১। স্ট্রাইক রেট ১১৭.৪১। টি-টোয়েন্টিতে দেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তিনি। চারটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি বিশ্ব একাদশের হয়ে। বাংলাদেশের পরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগামী মাসেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টি-টোয়েন্টি

১৪ নভেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ