নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের পর অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়। আরেকটি হারে বেজে যেতে পারে চ্যাম্পিয়নদের বিদায় ঘণ্টা। লঙ্কান শিবির থেকে ভেসে আসছে তেমনই হুঙ্কার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেলে শেষ চারের পথে অনেকটা এগিয়েও যাবে শ্রীলঙ্কা। সুযোগটা কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন দলটির রহস্য স্পিনার মাহিশ থিকশানা।
সিডনিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে তাদের রানরেটে পড়েছে বড় প্রভাব। টুর্নামেন্টের ধরনটাই এমন যে বাকি চার ম্যাচ জিতলেও সেমি-ফাইনালের টিকেট নাও পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া! নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ তো স্বীকার করেই নিয়েছেন, শেষ চারের ভাগ্য হয়তো আর তাদের হাতে নেই। অন্যদিকে, প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে আসা শ্রীলঙ্কা সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আইরিশদের ১২৮ রান ৩০ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় তারা। স্বাভাবিকভাবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের নেট রানরেটও হয়েছে সমৃদ্ধ।
এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাস যেমন তলানিতে, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে তা অনেক উঁচুতে। সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়েই পার্থে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর লক্ষ্য ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জানালেন থিকশানা, ‘অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর আমরা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছি, বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন অস্ট্রেলিয়া দলের চেয়ে ভালো। আশা করি, আগামীকালের ম্যাচে আমরা সেটি বয়ে নিতে পারব। অবশ্যই চাই (অস্ট্রেলিয়ার সেমির আশা শেষ করে দিতে)। ম্যাচ জিততে সবসময়ই ভালো লাগে। আমাদের সবসময়ের চাওয়া, শেষ চারটি দলের একটি হওয়া। তাই আমরা সেমি-ফাইনালে উঠতে চাই। তাদেরকে হারাতেই হবে আমাদের।’
মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হেইজেলউড, অ্যাডাম জ্যাম্পাদের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং বিভাগ জ্বলে উঠতে পারেনি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকরা দেয় ৬৫ রান। ২০ ওভারে কিউইরা ৩ উইকেট হারিয়ে করে ২০০ রান। থিকশানা ভালো করেই বুঝতে পারছেন, তাদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবেন স্টার্ক, কামিন্সরা। তবে নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্যরে কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি, ‘তাদের খুব ভালো ফাস্ট বোলার ও স্পিনার আছে। তাই আমি মনে করি তারা ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। তারা সবশেষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। জানি তাদের খুব ভালো ফাস্ট বোলিং আক্রমণ আছে। আমাদেরও খুব ভালো একটি ব্যাটিং লাইনআপ আছে। আমি মনে করি, আমরা ১৬০ থেকে ১৭০ রানের বেশি করতে পারব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।