পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719736333](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে এখন বিজেপিবিরোধী প্রধান মুখ হতে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাই দেশের বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ বিজেপিবিরোধী সব দলের নেতাদের জনপ্রিয়তার আলোকে পেছনে ফেলে উঠে এসেছেন শীর্ষে। ভারতের নিউজ ম্যাগাজিন ইন্ডিয়া টুডের জানুয়ারি সংখ্যায় ‘মুড অফ দ্য নেশন’ শীর্ষক এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
ওই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কমে গেছে ১৫ শতাংশ। আর ভারতের বিজেপিবিরোধী বিকল্প মুখ হিসেবে উঠে এসেছে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির গ্রহণযোগ্যতাও কমে গেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত বছর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বড় জয়ের পর মমতার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা দেশেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এবার উঠে এসেছে মমতার মুখ।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মোদির বিরুদ্ধে এখন লড়ার সবচেয়ে বেশি শক্তি রাখেন মমতা। সেই তুলনায় পেছনে চলে গেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির নাম। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে পারেননি। সেই তুলনায় মমতা অনেকটাই রাহুলকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছেন। মমতা ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে দলের বিস্তার ঘটিয়েছেন ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তর প্রদেশ, মেঘালয়, হরিয়ানা রাজ্যে। তাই এখন গোটা দেশ মমতাকে মোদির বিরুদ্ধে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিরোধী শক্তি হিসেবে মনে করছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মমতাকে মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই মোদিবিরোধী জোট গঠনের জন্য মমতাও মাঠে নেমেছেন। বার্তা দিচ্ছেন মোদিবিরোধী জোট গঠনের। রাজনৈতিক মহলও এখন এমনটা মনে করছে- মমতাই পারবেন মোদিকে রাজনৈতিক ময়দানে বেগ দিতে। তার সাহস রয়েছে, মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি রয়েছে। দেশ শাসন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রয়েছে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দপ্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতা, ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতাসহ সাংগঠনিক দক্ষতা। ইতিমধ্যে মমতা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাই ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিরোধী দলের প্রধান মুখ হিসেবে মমতার নাম। তিনিই এখন ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধী দলের প্রধান মুখ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
যদিও বিরোধী মুখ হিসেবে এখন পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ওপর ততটা আস্থা না থাকায় উঠে এসেছে মমতার নাম। তবে মমতার পরে আছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এরপর রাহুল গান্ধী। যদিও মোদিবিরোধী শিবসেনা, এনসিপি, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি কার্যত মমতাকেই বিজেপিবিরোধী মুখ হিসেবে মেনে নিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের জানুয়ারি সংখ্যার ‘মুড অফ দ্য নেশন’ সমীক্ষায় এই চিত্র ফুটে উঠেছে। সমীক্ষায় যোগ দেওয়া ১৭ শতাংশ মানুষ বিরোধী দলের প্রধান মুখ হিসেবে দেখছেন মমতাকে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে দেখছেন ১১ শতাংশ মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।