পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিলো যে, আমরা তো নিপীড়ন-নির্যাতন করে মুখ বন্ধ করে রেখে আমরা বোধহয় পার পেয়ে গেছি। পার পেয়েছে? আজকে সারা দুনিয়া জেনে গেছে বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। সেজন্য ইউএস ট্রেজারি থেকে এই বাংলাদেশের একটি সংস্থার ওপরে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কতগুলো হাই-অফিসিয়ালের ওপরে নিষেধাজ্ঞা এসেছে- এটা কিন্তু গৌরবের বিষয় নয়, জাতির হিসেবে আমাদের লজ্জার বিষয়।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, প্রায় ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা-এনজিও তারা জাতিসংঘকে চিঠি দিয়ে দাবি জানিয়েছে যে, জাতিসংঘের যে পিস মিশনের বাংলাদেশ থেকে যারা যায় সেখানে যেন, র্যাবের কোনো কর্মকর্তা, কোনো সদস্য যেতে না পারে। এটা কী আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপার নয়, এটা অবশ্যই আমাদের জন্যে লজ্জার ব্যাপার। কারা আজকে বাংলাদেশকে এভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে? আজকের এ সরকার। কেনো? গায়ের জন্য ক্ষমতায় থাকার জন্য।
সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির একটা প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে যেখানে দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা ছিলো যা এখন প্রস্তাব করা হয়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা, এক চুলার দাম ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। তার মানে তিনগুন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। বুঝেন..। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না, কোনো রকমের বৃদ্ধি মেনে নেয়া হবে না। আমরা এই আলোচনা সভা থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করছি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কিছুদিন আগে তারা জ্বালানি তেল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করেছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে আজকে বড় বড় প্রজেক্ট করে, বড় বড় কমিশন নিয়ে বিদেশে অর্থ পাঁচার করছে। আর নয়। এই সরকার জনগণের সরকার নয়, তাদের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আর নয়, আর এসব অনাচার-অন্যায় থেকে রক্ষা পেতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার নিজের ইচ্ছায় যায় না ধাক্কা দিতে হয়। পাকিস্তান সময়ে আমাদের এটার উদাহরণ আছে। এদেশের মানুষ পারে। আইয়ুব খানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পেরেছে, মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের এদেশ থেকে বিদায় করতে পেরেছে। এরশাদকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে উৎখাত করতে পেরেছে। অবশ্যই আমরা আশাবাদী এদেশের মানুষ ঠিক একই ভাবে আজকের স্বৈরাচারকে উৎখাত করে এই দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করবে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ-দর্শনকে বাংলাদেশে আবার আমরা বাস্তবায়ন করব।
মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের শাহ নেসারুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।