মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের আবহে শুক্রবার রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা। জেনিভাতে আয়োজিত হতে চলেছে পূর্বনির্ধারিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি। মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেন সফরে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব। রাজধানী কিয়েভে দাঁড়িয়েই রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকির সুর শোনা যায় তার গলায়। তিনি বলেন,"ইউক্রেনের রাশিয়ার হামলার চেষ্টা, আমাদের সকলকে বিপজ্জনক এবং অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে টেনে নিয়ে এসেছে। সবার ওপরে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়ছে। " শুক্রবারের বৈঠকে সার্গেই লাভরভের কাছে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক আশ্বাস চাইবেন ব্লিংকেন। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
সম্প্রতি ইউক্রেন সফরে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকা। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার জার্মানিতে যান মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব। সেখানে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতার সুর শোনা যায় জার্মানির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের গলায়। যেকোনও ধরনের রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার বিষয়ে সহমত হয়েছে আমেরিকার এই ইউরোপীয় জোট সঙ্গীটি।
জার্মানির পাশাপাশি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেনও। সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব লিজ ট্রাস বলেন, "রাশিয়ার এই আগ্রাসন, একটি কৌশলগত ভুল। যার ফলে ভয়ানক প্রাণহানিও হতে পারে। ইউক্রেন হামলার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।" গত শুক্রবার সিডনিতে এক ভাষণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমী জোটকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী করে তুলতে চায় লন্ডন।
উল্লেখ্য, সেই কারণে বিগত কয়েক দিন থেকেই ইউক্রেনে বিভিন্ন ধরনের সামরিক হাতিয়ার জোগান দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শুক্রবারের বৈঠকে রাশিয়ার থেকে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি আদায় ও ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন করাই হবে আমেরিকার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর উপস্থিতি কমানোর বিষয়ে পশ্চিম জোটের থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় মস্কোর অন্যতম উদ্দেশ্য। এই দুই পরস্পরবিরোধী স্বার্থের বৈঠক কতটা সফল হয় সেদিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়েছে রাশিয়ার উপস্থিতি। গত সপ্তাহে ব্যাপক সাইবার হানায় বিপর্যস্ত হয় ইউক্রেনের একাধিক সরকারি দফতরের ওয়েবসাইট। সাইবার হামলার পিছনে মস্কোর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে আমেরিকা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুতিন প্রশাসন। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।