এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম সন্ত্রাসী কাজকর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে। অ্যাপের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের পথে জার্মানি।
সম্প্রতি টেলিগ্রামে একটি মেসেজ ভাইরাল হয়। জার্মানির পূর্বপ্রান্তের এক রাজ্যের প্রধান ম্যানুয়েলা। টেলিগ্রামে তার নাম দিয়ে একটি মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে। তাতে লেখা ছিল, 'পেট্রোল কার অথবা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।' এর কিছুদিনের মধ্যেই অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনের সদস্যরা তার বাড়ি আক্রমণ করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে তীব্র সংঘর্ষ হয়।
এরপরেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বলেন, কারা এ কাজ করেছে, ওই পোস্টটি কে করেছিল, বোঝা কার্যত অসম্ভব। কারণ, টেলিগ্রাম কোনোরকম তথ্য সরকার বা প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করে না।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। ফেসবুক, ইউটিউব বিভিন্ন দেশের আইনঅনুযায়ী প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে। প্রয়োজনীয় তথ্য তারা প্রশাসনকে দেয়। টেলিগ্রাম দেয় না বলেই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি তাদের কাজকর্ম টেলিগ্রামের মাধ্যমে করার চেষ্টা করে।
জার্মান সরকার এর আগেও টেলিগ্রামকে সহযোগিতা করতে বলেছিল। কিন্তু টেলিগ্রাম রাজি হয়নি। তাদের বক্তব্য, ব্যক্তির ডেটা বা তথ্য তারা কোনোভাবেই সরকার বা প্রশাসনের সঙ্গে ভাগ করে নেবে না। এটি তাদের পলিসির বিরোধী। ফলে টেলিগ্রামের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে নামার কথা ভাবছে জার্মানি। তাদের বিরুদ্ধে বড়সড় জরিমানার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। জার্মানির বক্তব্য, কোনো দেশে ব্যবসা করতে হলে সে দেশের আইন মানতেই হবে। টেলিগ্রাম সেই কাজটি করছে না।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, জার্মানির এই যুক্তি শেষপর্যন্ত কার্যকরী নাও হতে পারে। কারণ, মেসেজিং অ্যাপ কোম্পানির তথ্য প্রকাশ না করার অধিকার আছে। রাশিয়ার দুই ব্যক্তির তৈরি এই মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম তাই সহজে জার্মানি থেকে নিষিদ্ধ করা মুশকিল। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।