পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির দাবি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নয়, নিরপেক্ষ সরকার বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ইসি গঠনে সরকারের খসড়া আইন প্রসঙ্গ টেনে গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এই কর্মসূচি করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারের খসড়া আইন করছে। এতে অন্যতম শর্ত হচ্ছে- গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে ওইসব ব্যক্তির কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারি ছাড়া আর কেউ কমিশনে নিয়োগ পাবেন না। আর সরকারি কর্মচারী মানেই হচ্ছে শেখ হাসিনার কর্মচারী। আরো দেখা যাচ্ছে, সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না। সার্চ কমিটি আইনসিদ্ধ ছিল না, এখন আইনসিদ্ধ করছে। আগে কাবিন ছাড়া সংসার করেছে, এখন কবিন করে সংসার করছে। অর্থাৎ আইন করে অবৈধকে বৈধ করছে সরকার।’
তিনি বলেন, আমাদের দাবি নির্বাচন কমিশন নয়, আমাদের দাবি হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের গঠন করা নির্বাচন কমিশন দিয়ে ২০০১ সালে ভোট হয়েছিল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩ টি আসন পেয়েছিল। অতএব নির্বাচন কমিশন বা এই আইন নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাকে বলব, আপনি কবে যাবেন, সেই প্রস্তুতি নিন। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আপনার যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিদেশেও পালাতে পারবেন কিনা জানিনা। কারণ, একের পর এক চালান ফেরত আসছে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা না হত, যদি গণতন্ত্র থাকত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটত না।
ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন-চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের প্রফেসর ডা. মো. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. রেজোয়ানুর রহমান সোহেল, ডা. মো. দিদারুল আলম, ডা. মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, ডা. নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ড্যাবের চিকিৎসকরা এই ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে ১৮০ জন গরীব রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।