পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে উত্তাপ ছড়িয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। তিনি নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে থাকেন হারুনুর রশীদ। নিজের নির্বাচনী এলাকার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও প্রেসিডেন্টের সংলাপ নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য চলাকালে হৈ চৈ শুরু করেন সরকারি দলের সদস্যরা। এ নিয়ে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকার দলীয় সংসদের উদ্দেশে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না প্লিজ। এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য তা বলার অন্ততঃ সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।
এর আগে বিএনপি সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তার আগে ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এ সংসদে আছি, অন্তত পক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই দিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলছে, আমি ইভিএম মনিটর করছি, কেউ বলছে ইভিএম টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাথে কথা বলি। কিন্তু কোন উত্তর পাইনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নাই। প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করবো, আমার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে কেন সংসদে থাকব?
বিএনপি দলীয় এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করাও দুর্নীতি। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন ও নির্বাচিত হন। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন-নিয়োগ পান। অসৎ উপায়ে যে কোন কর্ম বাস্তবায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এ দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।