পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার লাকসামে চার বছর বয়সী শিশু পুত্রের সামনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাজমা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী। আত্মহত্যার আগে নিজের হাতে লিখা চিরকুটে মৃত্যুর জন্য স্বামীকে দায়ী করে গেছেন ওই গৃহবধূ। গত রোববার রাতে লাকসাম উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশে একটি চারতলা ভবনের নিচতলার ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাজমা বেগম কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরেসপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের প্রবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া গতকাল সোমবার স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিমগাঁও এলাকায় আবদুল মতিন প্রফেসরের ৪তলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন নাজমা আক্তার। দুই দিন আগে বড় ছেলে নাহিদ নানার বাড়ির মনোহরগঞ্জে যায়। গত রোববার ছোট ছেলে নাফিজকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে শোয়ার ঘরে যান নাজমা। পরে নাজমা আক্তার তার স্বামী নাছির উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে নাফিজের সামনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজমা। এ সময় নাফিজের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে নাজমাকে ঝুলন্ত দেখতে পায়।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল সোমবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নাজমা আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন- আমি বাঁচতে চাই না, আমি মরতেই চাই, আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামীই দায়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।