মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাইরে থেকে বড়ভাই এসেছে অনেকদিন পর। ভাইয়ের খুব শখ, বিরিয়ানি রেঁধে খাওয়াবে। সেইমতো বন্ধুদের নিয়ে আয়োজনও করেছিলেন। কিন্তু রান্নার সময় দেখা যায়, বিরিয়ানির হাঁড়িটাই উধাও! বন্ধুদের নিয়ে গাড়ি চড়ে হাঁড়ি খুঁজতে বেরলেন যুবক।
দীর্ঘক্ষণ পাত্তা না পেয়ে পরিবারের আশঙ্কা হল, বোধহয় ছেলেকে কেউ অপহরণ করেছে। সঙ্গে সঙ্গে ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশের সাহায্য চাইলেন যুবকের বড়ভাই। পুলিশ ব্যতিব্যস্ত হয়ে তদন্তে নামল। কিন্তু তার কিনারা করার পর নিজেরাই হেসে খুন তদন্তকারীরা। এ যে যুবক অপহরণ নয়, বিরিয়ানির হাঁড়ি ‘অপহরণ’! এমনই মজার মামলার সাক্ষী রইল গড়ফা থানার পুলিশ।
ঘটনা শুক্রবার রাতের। গড়ফার বাসিন্দা বছর তিরিশের রোশন সিং বন্ধুদের নিয়ে পরিকল্পনা করেছিল বিরিয়ানি রান্নার। সমস্ত জোগাড়ও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কাজে নামার সময় দেখা গেল, উধাও বিরিয়ানির হাঁড়িই। তাহলে রান্না হবে কীসে? ব্যস, শশব্যস্ত হয়ে হারানো হাঁড়ি খুঁজতে বেরিয়ে পড়লেন রোশন সিং। সঙ্গে বন্ধুরা।
দীর্ঘক্ষণ ভাইয়ের কোনও খোঁজ নেই দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন রোশনের দাদা এবং পরিবারের বাকিরা। তাঁরা ভাবতে শুরু করেন, কেউ কি তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেল। সেই আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হয় রোশনের পরিবার। ১০০ নম্বর অর্থাৎ লালবাজারের আপৎকালীন নম্বরে যোগাযোগ করে ছেলেকে খুঁজে দিতে পুলিশের সাহায্য চান। অপহরণের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে গড়ফা থানার পুলিশ।
প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রোশনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পুলিশ। ফোন রিসিভ করেন রোশন। জানতে পারে, কেউ তাকে অপহরণ করেনি। তিনি বন্ধুদের নিয়ে বিরিয়ানির হাঁড়ি খুঁজতে বেরিয়েছেন। একথা শুনে হাসি আর থামছিলই না দুঁদে পুলিশ অফিসারদের। তবে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে, রোশনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার পর পুলিশ তাঁকে জানায় যে বাড়ির লোকজন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন তাঁর জন্য। তিনি যেন দ্রুত বাড়ি ফিরে যান। এসব শুনে রোশন বাড়ি ফিরে আসেন, পরিবারকে গোটা ঘটনা জানান। সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
স্রেফ বিরিয়ানির খোঁজে যুবকের বেপাত্তা হওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের! এবং তদন্তকারীদের ব্যতিব্যস্ত করে তোলা! এমন অভিজ্ঞতা অতীতে খুব একটা নেই কলকাতা পুলিশের। রাগ করবেন কি, আসল ঘটনা জানতে পেরে হেসেই খুন তদন্তকারীরা। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।