মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুবাই বিমানবন্দরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দুই বিমানের কয়েকশো যাত্রী। না, দু'টির একটিও তখনও টেক অফ করেনি। একটি উড়ে যাওয়ার মিনিট পাঁচেক পরে রানওয়েতে দৌড় শুরু করার কথা ছিল দ্বিতীয় বিমানটির। কিন্তু একটা সময়ে দু'টি বিমানই একসঙ্গে রানওয়েতে প্রায় মুখোমুখি চলে আসায় দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে একেবার শেষ মুহূর্তে দুবাই এটিসি এবং পাইলটদের তৎপরতায় তা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন, তার খোঁজ পেতে তদন্তে নেমেছেন দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঠিক কী হয়েছিল সে দিন? ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৯টা ৪৫। বিমানদু'টির গন্তব্য ছিল হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরু। ইকে-৫২৪ বিমানের গন্তব্য ছিল হায়দরাবাদ। আর ইকে-৫৬৮ বিমানের যাওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরু। প্রথম টেক অফ করার কথা ছিল হায়দরাবাদগামী বিমানটির। একই রানওয়ে থেকে মিনিট পাঁচেক পরে উড়বে বেঙ্গালুরুর ফ্লাইট। সেই মতো, হায়দরাবাদের উদ্দেশে এমিরেটস-এর ইকে-৫২৪ বিমানটি ৩০আর রানওয়ে ধরে ছুটতে ছুটতে গতি বাড়াতে শুরু করে। বেশ চলছিল। কিন্তু এ কী! রানওয়েতে যে ঢুকে পড়েছে বেঙ্গালুরুগামী বিমানটিও! সূত্রের খবর, হায়দরাবাদগামী বিমানটি ততক্ষণে ২৬০০ ফুট ছুটে রানওয়ের প্রায় অর্ধেকটা কভার করে ফেলেছে। ও দিকে, দ্বিতীয় বিমানটি এই রানওয়েতেই শুধু ঢুকে পড়েছে নয়, এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে বিপরীত দিক থেকে বীভৎস গতিতে এগিয়ে আসতে থাকে সেটি। মুহূর্তে বিষয়টি নজরে আসে দুই বিমানচালকেরই। ততক্ষণে বিপদবার্তা এসে গিয়েছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফেও। হায়দরাবাদগামী বিমানটিকে টেক অফ করতে বারণ করা হয়। চালক গতি কমিয়ে কিছুটা এন-ফোর ট্যাক্সিওয়ের দিকে ঢুকে বেঙ্গালুরুগামী বিমানটিকে সেফ প্যাসেজ করে দেয়। বরাত জোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষ পান দুই বিমানের যাত্রীরা। যাদের একটা বড় অংশ ভারতীয় ছিলেন বলেই দাবি স্থানীয় সূত্রের। কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের বিমান মন্ত্রণালয়।
যাত্রী নিরাপত্তায় এমন বড়সড় ফাঁক নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বিমান সংস্থাটিকে। প্রশ্ন উঠেছে এটিসি-র ভূমিকা নিয়েও। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ওড়ার কথা, এমন দু'টি বিমানকে কেন একই রানওয়ে অ্যালট করা হয়েছিল, জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দু'টির একটি টেক অফের সবুজ সঙ্কেত ছাড়াই রানওয়েতে উঠে পড়েছিল। শোনা যাচ্ছে, হায়দরাবাদগামী বিমানটিকে নয়, টেক অফের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরুগামী বিমানটিকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যায়, হায়দরাবাদের বিমানটিই আগাম ছুটতে শুরু করে রানওয়ে ধরে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।