পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
এই কলামে এর আগে প্রযুক্তির অগ্রগতি নিয়ে কিছু আলোকপাত করেছি। তখন বলেছি, পরবর্তীতে বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলবো। বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্প্রতি যেভাবে ঘটছে তা কল্পনাতীত। অন্যতম হচ্ছে: কৃত্রিম সূর্যের সফল পরীক্ষা, যার তাপমাত্রা আসল সূর্যের চেয়ে পাঁচ গুণের মতো। এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। তাতে ৭ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ উৎপন্ন হয়েছে। অথচ, মূল সূর্যের কেন্দ্র দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো উত্তপ্ত হতে পারে। এই তাপ প্রায় ১৮ মিনিট পর্যন্ত টিকে ছিল। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এতে নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব বিপুল শক্তি উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। কারণ, এমন বিক্রিয়ায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় হাইড্রোজেন ও ডিউটেরিয়াম গ্যাস। সমুদ্রের এক লিটার পানি থেকে যে পরিমাণ ডিউটেরিয়াম গ্যাস পাওয়া যাবে, তা থেকে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে পাওয়া শক্তি ৩০০ লিটার গ্যাসোলিন পুড়িয়ে পাওয়া শক্তির প্রায় সমান। তাই এই প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের অফুরন্ত পানিকে কাজে লাগিয়ে শক্তি উৎপন্নের টেকসই পদ্ধতি উদ্ভাবন সম্ভব হলে লাখ লাখ বছরের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি চাহিদা পূরণ হবে। চীনের ওই চুল্লিটিকে আরও শক্তপোক্ত ও তাপ সহনীয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চুল্লিতে মূল সূর্যের নিউক্লীয় ফিউশনের প্রক্রিয়া অনুকরণ করার কারণেই এটিকে কৃত্রিম সূর্য বলা হচ্ছে।
সম্প্রতি গ্রহের মতো আকৃতির আরো ১৭০টি বহির্জাগতিক গ্রহ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৪২০ আলোকবর্ষ। এ ক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠ ও মহাকাশে স্থাপিত টেলিস্কোপের ২০ বছরের ডাটা ব্যবহার করেছেন তারা। এ গ্রহগুলো চলাফেরা করে অন্ধকার মহাবিশ্বে। তাদেরকে আলোকিত করার জন্য নেই কোনো নক্ষত্র। এসব গ্রহ সৃষ্টি হতে কয়েক মিলিয়ন বছর লেগেছে।
বিশ্বে প্রথম সমুদ্র তীরবর্তী বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে চীন। ইয়াংজিয়াং সমুদ্র তীরবর্তী বিশাল পানিরাশির ওপর ২৬৯টি টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৫০০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে, যা করতে ১৫ লাখ টন কয়লা পোড়াতে হতো। এতে প্রায় ৪০ লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকরা ডেভিড বেনেট (৫৭) এর দেহের জিন পাল্টে দিয়ে শূকরের দেহের হ্নৎপিন্ড প্রতিস্থাপন করেছেন, যা বিশ্বে প্রথম। বেনেট ভালো আছেন। প্রতিষ্ঠানটির সার্জন বার্টলে বলেছেন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বল্পতার সমাধানে এই অস্ত্রোপচার বিশ্বকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রথম লবণাক্ত ও পানিমগ্ন সহিঞ্চু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছেন গত ২৩ ডিসেম্বর। ফলে রেডিয়েশন ব্যবহার করে লবণাক্ততা ও বন্যা সহিঞ্চু ধানের আবহাওয়া উপযোগী জাত উন্নয়ন, চালের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ পরিবর্তন, পোকাকামড় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এই উদ্ভাবনের ফলে দেশের উপকূল ও হাওর এলাকায় ধান উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা দেশে ধান কাটার যন্ত্র তৈরি করেছেন। যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রি হোলফিড কম্বাইন হারভেস্টার’। এই যন্ত্রের ধান কাটার ক্ষমতা একই ধরনের বিদেশি যন্ত্রের তুলনায় বেশি। এটি দেশের ছোট ছোট জমিতে ব্যবহারের উপযোগী। ফসল কাটার সক্ষমতাও বেশি। যন্ত্রটি ২০ বছর চলবে। এই যন্ত্রের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। আর অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। এই ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। ঘণ্টায় যন্ত্রটি তিন-চার বিঘা জমির ধান কাটতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় ৩.৫-৪ লিটার। ধান কাটার পর ফসল নষ্ট হওয়ার পরিমাণ ১%। এর দাম পড়বে ১২-১৩ লাখ টাকা। বিদেশি কম্বাইন হারভেস্টারের দাম ২৫-৩০ লাখ টাকা। সেগুলো বিস্তৃত মাঠের জন্য।
চালক বিহীন স্বয়ংক্রিয় রোবট লাঙ্গল উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জন ডিরি। প্রতিষ্ঠানটি তার জনপ্রিয় ৮আর ট্র্যাক্টর, একটি লাঙ্গল, জিএসপি এবং ৩৬০-ডিগ্রি ৬ জোড়া ক্যামেরাকে একত্রিত করে এটি উদ্ভাবন করেছে, যা একজন কৃষক তার স্মার্ট থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
চীন জৈবপ্রযুক্তির সহায়তায় মগজ ধোলাইয়ের যন্ত্র তথা শত্রুর শরীর ধ্বংসের পরিবর্তে তাদের মগজ নিয়ন্ত্রণে নিতে বা অবশ করে তাদের ইচ্ছা শক্তির নিয়ন্ত্রণ নিতে যন্ত্র তৈরি করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনের সামরিক সংবাদপত্র পিএলএ’র দাবি, বেইজিং চারটি প্রযুক্তি ক্ষেত্র (ন্যানো, বায়ো, ইনফরমেশন এবং কগনিশন) নিয়ে কাজ করছে। আমেরিকানদের দাবি, এসব অস্ত্র মারবে না, কাটবেও নাÑ শুধু প্রতিপক্ষের মগজের দখল নেবে। আর চাইলে তাকে অক্ষমও করে দেওয়া যাবে।
রাশিয়া স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে গত ১৬ নভেম্বর। এটা রাশিয়ার নিজস্ব একটি স্যাটেলাইটকে গুঁড়ো করে উড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মহাকাশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি লক্ষ্যবস্তুতে নিশ্চিতভাবে আঘাত করেছে, যার গতিবেগ শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এই মিসাইল ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়ে বেশি সময় ধরে শনাক্তকরণ রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে।
সফলভাবে জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। গত ২৮ নভেম্বর দেশটি এটি জানিয়েছে। এই ধরনের মিসাইল শব্দের থেকেও ৫-৯ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারে। এটিকে আটকানোর কোনো প্রযুক্তি বিশ্বে নেই।
জাপানের কিয়েতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ২০০৯ সালের সামোয়ার সুনামি ও ২০১০ সালে চিলির সুনামির যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন, টর্নেডোর মতো এখন সুনামিরও পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। আগেভাগে জানা যাবে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে এবং তা উপকূলের কতদূর পর্যন্ত এগোতে পারে। সমুদ্রের ঢেউ যে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, তার ধরন ও চরিত্র আগেভাগে জেনে নিয়েই এই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব।
ব্রিটেনের শেফিল্ড এবং ওয়ার উইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালানোর পর জানিয়েছেন, ডিমের মধ্যে যে সাদা অংশটি থাকে তাতে ওভোক্লিডিন (ওসি-১৭) নামে প্রোটিন থাকে। ডিমের সৃষ্টিতে এই প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর এই ওভোক্লিডিন প্রোটিন মুরগির গর্ভাশয়ে পাওয়া যায়। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, প্রথমে মুরগি এসেছে। পরে তার গর্ভাশয়ে ওভোক্লিডিন প্রোটিন তৈরি হয়েছে। সেই প্রোটিন থেকেই ডিমের সৃষ্টি।
মহাকাশে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চীনের শেনচৌ ১৩ মহাকাশযানের নভোচারী চুই চি কাং, ওয়াং ইয়া পিং, ইয়ে কুয়াং ফু চীনের মহাকাশ স্টেশন থেকে ক্লাস নেবেন। তারা মহাকাশ স্টেশনে তাদের জীবন-যাপন ও বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দেবেন এবং মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন। এই ক্লাস চায়না মিডিয়া গ্রুপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। ক্লাস নেওয়ার সময় মহাকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া হবে। চীনের তথ্য-প্রযুক্তি স্টেডিয়ামে প্রধান ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে এবং নান নিং, ওয়েন ছুয়ান, হংকং ও ম্যাকাওয়ে শাখা ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আবিষ্কার হয়েছে রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। এর আকার ও গঠন পুরোপুরি একটা পিজ্জার মতো। এটি সেন্সর, ড্রাইভ রুটিন ও স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস ব্যবহার করে ঘরদোর মোছে, চেয়ারের পাশ দিয়ে টেবিল ও সোফার নিচ দিয়ে মেঝে থেকে ধুলা আর ছোট ছোট কণা তুলে ফেলে। এছাড়া, এই পরিষেবা রোবটগুলো রেস্টুরেন্টে গ্রাহকদের সাহায্য করছে। উপরন্তু এ রোবট সার্জারির সময়ে ডাক্তারদের সহযোগিতা করছে ও সংক্রমণ রোধ করতে আশপাশ জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছে। এছাড়া, আরেক ধরনের রোবট বানানো হয়েছে, যেটা বয়স্কদের সেবা দেবে। তাদের ওষুধ খাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে এবং তাদের কথাবার্তা ও চলাফেরায় নজর রাখবে। জরুরি হলে অভিভাবক বা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বার্তাও পাঠাবে। ডেলিভারি রোবট কাজে লাগিয়ে আকাশপথে মনুষ্যবিহীন ড্রোনে করে খাবার পাঠানো হচ্ছে গ্রাহকের কাছে। গত ডিসেম্বরে ড্রোন ব্যবহার করে নিজেদের তেল স্টেশন থেকে পার্শ্ববর্তী পার্কে গরম তেলও বহন করেছে জিএস ক্যালটেক্স। হুন্দাই মোটর গ্রুপ বলেছে, বৈশ্বিক রোবোটিকসের বাজার বছরে ৩০% করে বাড়ছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ গিরিখাত। মঙ্গলগ্রহেও ভ্যালেস মেরিনার্স অঞ্চলটিতে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো গিরিখাত রয়েছে। তাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি আছে। মঙ্গলগ্রহকে ঘিরে প্রদক্ষিণরত একটি নভোযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা এটা বলেছে। এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার নামের এই নভোযান ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও রসকসমস যৌথভাবে পাঠিয়েছিল। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করেছে নভোযানটি। মঙ্গলের গিরিখাতটি পৃথিবীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়ে ১০ গুণ দীর্ঘ, ৫ গুণ গভীর ও ২০ গুণ প্রশস্ত। এই গিরিখাতের পৃষ্ঠের নিচেই রয়েছে পানি। নভোযানের ফ্রেন্ড যন্ত্রে এই পানি শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলের বেশির ভাগ পানি গ্রহটির মেরু অঞ্চলে অবস্থিত এবং তা বরফ হিসেবে জমে রয়েছে। ভ্যালেস মেরিনার্স অঞ্চলটি গ্রহটির বিষুবরেখার ঠিক দক্ষিণে, যেখানে তাপমাত্রা সাধারণত পানিকে বরফে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট ঠাণ্ডা হয় না।
চীন ঘণ্টায় ১২ হাজার মাইল গতিবিশিষ্ট হাইপারসনিক বিমান তৈরি করছে। এতে ১০ জন আরোহীকে এক ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বের যেকোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে। এর গতি শব্দের গতির চেয়ে ৫ গুণ বেশি। ২০৩৫ সালের শেষ নাগাদ এই বিমান আকাশে উড়বে। ২০৪৫ সালের মধ্যে এর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ১০০ যাত্রীতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল, হার্ভার্ড ও এমআইটির গবেষকরা বলেছেন, বুস্টার ডোজ শরীরে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
প্রথমবারের মতো গত এপ্রিলে সূর্যর উপরি তল (‘করোনা’) দিয়ে উড়ে গেছে নাসার মহাকাশযান-পার্কার সোলার প্রোব। তিন বছর আগে এটি পাঠানো হয়। এটি ঘণ্টায় ৫ লাখ কিলোমিটার বেগে চলছে। নাসার গবেষক নিকোলা ফক্স বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে আমাদের সব থেকে কাছের নক্ষত্রটি কীভাবে তৈরি এবং আমাদের সৌরজগতে এর প্রভাব কেমন, তা উদঘাটনের পথে আমরা। নাসার সাম্প্রতিক এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সূর্যের তীব্র তাপে জ্বলে পুড়ে যাবে শরীর। আর সাগর, মহাসাগরের সবটুকু পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে নাই হয়ে যাবে অক্সিজেন। ছিঁড়ে ফালাফালা হয়ে যাবে পৃথিবীকে চার পাশ থেকে মুড়ে রাখা ওজোন গ্যাসের চাদর। সব ধরনের সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মির হামলা থেকে যা বাঁচিয়ে রাখে আমাদের। সৌর বিকিরণ আর মহাজাগতিক রশ্মি ভেঙে দেবে এই নীলাভ গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে। গ্রিনহাউজ গ্যাসও তখন আর থাকবে না বায়ুমণ্ডলে। ফলে, অক্সিজেন-নির্ভর প্রাণের পক্ষে টিকে থাকা যেমন সম্ভব হবে না, তেমনি অসম্ভব হয়ে পড়বে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষও। রান্নাবান্নার যাবতীয় প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। প্রায় ২৪০ কোটি বছর আগে পরিস্থিতি যে রকম ছিল পৃথিবী আবার ফিরে যাবে সেই অবস্থায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানির পটসড্যাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষণাপত্র মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও শতাব্দীব্যাপী সমুদ্রের উচ্চতা বাড়তেই থাকবে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ৫০ কোটি মানুষের আবাসস্থল জলাভূমিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ জোয়ারের ঝুঁকিতে পড়বে। একবিংশ শতাব্দীর পরও শত শত বছর ধরে মহাসাগরগুলো ফেঁপে উঠবে। বরফের চাদর গলা, সমুদ্রে আটকে থাকা তাপ ও উষ্ণ পানির গতিশীলতা থামবে না-যত জোরালোভাবেই গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করা হোক না কেন।জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের বরফের আস্তরণ গললে সাগরের পানি বাড়বে ২০ ফুট। কুমেরুর বরফ গললে সাগরের পানি বাড়বে ২০০ ফুট।
চীন পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে গত আগস্টে। পরে এটি লক্ষ্যবস্তুর দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে পৃথিবীর কক্ষপথের নিচের দিক দিয়ে পরিভ্রমণ করে। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তু থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গিয়ে পড়ে। এর গতি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ।
এরূপ অসংখ্য অকল্পনীয় জিনিষ আবিষ্কার করছেন বিজ্ঞানীরা। এসব যে যত ব্যবহার করছে, সে তত উন্নতি করছে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।