মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিনদিনে মোট ১১ জন মন্ত্রী ও বিধায়ক বিজেপি-জোট ছাড়লেন। দুইজন যোগ দিলেন রাষ্ট্রীয় লোকদলে, বাকিরা সমাজবাদী পার্টিতে।
ভোটের আগে নিজেদের শাসনাধীন রাজ্যে এমন বিদ্রোহের মুখে কখনো পড়েনি মোদী-শাহের বিজেপি। তিনদিনে বিজেপি ও তার শরিক আপনা দল থেকে তিন মন্ত্রী সহ ১১ জন বিধায়ক পদত্যাগ করলেন। সকলেই অনগ্রসর শ্রেণির নেতা। বিজেপি ছেড়ে আসা অধিকাংশ মন্ত্রী ও বিধায়ক শুক্রবার সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন একগুচ্ছ পূর্ব বিধায়ক ও জেলা নেতারা। তারা অধিকাংশই অনগ্রসর শ্রেণির নেতা। বিজেপি ছাড়াও বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেস থেকেও নেতারা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
যে তিনজন মন্ত্রী দল ছেড়েছেন, তাদের নিজেদের গোষ্ঠীতে রীতিমতো ভালো প্রভাব আছে। দৈনিক ভাস্কর জানাচ্ছে, যে ১১ বিধায়ক বিজেপি ও আপনা দল ছেড়েছেন তাদের মোট ১৩৫ আসনে যথেষ্ট প্রভাব আছে। পশ্চিম ও পূর্ব উত্তরপ্রদেশজুড়ে নিজেদের গোষ্ঠীতে তাদের প্রভাব রয়েছে।
এই নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে প্রভাবশালী হলেন স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। মৌর্যদের মধ্যে তিনি বড় নেতা। আগ্রা, জৌনপুর, কুশীনগর, বলিয়া, মউ, গোরক্ষপুর, মহারাজগঞ্জ, গাজিপুরের মতো জায়গায় তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী। উত্তরপ্রদেশের ভোটদাতাদের মধ্যে সাত থেকে আট শতাংশ মৌর্য।
আরেক পদত্যাগী মন্ত্রী ধরম সিং সাইনিরও ছয়-সাতটি জেলায় প্রভাব রয়েছে। চৌহানদের মধ্যে দারা সিং চৌহান রীতিমতো প্রভাবশালী। দারা সিং সদলবলে আগামী রোববার সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন বলে সূত্র জানাচ্ছে।
বছর পাঁচেক আগে অমিত শাহ যে কৌশল নিয়েছিলেন, এবার অখিলেশ সেই অস্ত্রই হাতে তুলে নিয়েছেন। প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্ত ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''অমিত শাহ সেসময় কৌশল নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে যাদব বাদে বাকি অনগ্রসরদের ভোট পাওয়ার জন্য ঝাঁপাবে বিজেপি। যাদব ভোট অখিলেশের সঙ্গে থাকবে ধরে নিয়েই এই প্রয়াস। তখন প্রজাপতি, মৌর্য, সাইনি, রাজভর, বিন্দ, সাগর, নিষাদ সহ অনগ্রসর গোষ্ঠীর নেতাদের বিজেপি-তে নিয়ে আসেন অমিত শাহ।'
উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশর মতো অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। তার মধ্যে যাদব হলেন ১০-১১ শতাংশ। এছাড়া মৌর্য, প্রজাপতি, সাইনি সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। অমিত শাহ তাদের নেতাদের বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন। তার ফলও হয়েছিল মারাত্মক। বিজেপি যে ৩০৩টি আসনে জিততে পেরেছিল, তার মধ্যে একশর মতো আসন এসেছিল এই সব অনগ্রসর নেতাদের প্রভাবের সঙ্গে বিজেপি-র শক্তি যুক্ত হওয়ার ফলে।
শরদের মতে, ''এইবার অখিলেশও কৌশল বদল করেছেন। কারণ, শুধু মুসলিম-যাদব ভোটব্যাংক তাকে ক্ষমতায় আনতে পারবে না বুঝে তিনি যাদব বাদে অন্য অনগ্রসর নেতাদের দলে আনার উদ্যোগ নেন। ভোটের আগে দেখা যাচ্ছে, তার কৌশল সফল হয়েছে। যে নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অমিত শাহ দুর্দান্ত ফল করেছিলেন, তার মধ্যে অনেকে শুক্রবার অখিলেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিয়েছেন।''
সূত্র জানাচ্ছে, আগামী রোববার আরো কিছু নেতা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। তার মধ্যে এক বা দুইজন মন্ত্রী এবং আরো কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে চলে যেতে পারেন।
প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ভোটের ফল কী হবে, সেটা পরের কথা, আপাতত অখিলেশ একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভালোভাবেই লড়াইয়ের ময়দানে আছেন। এতজন বিজেপি মন্ত্রী ও বিধায়কের ইস্তফা ও তাদের সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান এটা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বিজেপি-র শক্ত জমি কিছুটা হলেও নড়বড়ে দেখাচ্ছে।
দলিত নেতা চন্দ্রশেখরও এদিন অখিলেশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আর অখিলেশও জানিয়ে দিয়েছেন, তার দলে সকলেই স্বাগত, সবাইকেই তিনি প্রাপ্য সম্মান দেবেন। শুধু এখন নয়, পরেও। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।