পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারীর দ্বারা পুরুষ ‘ধর্ষণ’ এর বিচার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেছে ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’। গাজীপুরে একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন একাধিক কিশোর ও যুবককে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার সেই পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক ফিরোজা নাজনীন বাঁধনের (৩৫) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে আইনে ধর্ষণের লিঙ্গ-নিরপেক্ষ সংজ্ঞা এবং দবিধি ৩৭৫ ধারার লিঙ্গনিরপেক্ষ সংস্কারও চেয়েছে পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা এই ফাউন্ডেশনটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাহিন মুর্তজা অনিকের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এইড ফর মেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খালিদ মাহমুদ। এছাড়াও অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানববন্ধন কর্মসূচির সঙ্গে ছিলেন এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক খান।
মানববন্ধনে ঢাবি আহ্বায়ক মাহিন মূর্তজা বলেন, একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি যে, গাজীপুরের ‘ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ আশ্রিত অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরদের ওপর পাশবিক যৌন নির্যাতন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফিরোজা নাজনীন ওরফে বাঁধন (৩৫)। এ ছাড়াও চিকিৎসা দেওয়ার নামে, পছন্দের পুরুষ রোগীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার এই বিকৃত আচরণ ও জঘন্য অপরাধকে ‘ধর্ষণ’ ব্যতীত অন্যকিছু বলার সুযোগ নেই। একজন ধর্ষক, ধর্ষণের অপরাধের জন্য যেই শাস্তি পান, ফিরোজা নাজনীন বাঁধনকেও একই শাস্তি প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি।
এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, একজন নারী যে একজন পুরুষের ওপর যৌন নির্যাতন করতে পারে ও পুরুষকে ধর্ষণ করতে পারে, এই ধারণাটি উন্নত বিশ্বে স্বীকৃত হলেও, বাংলাদেশের বর্তমান আইনে স্বীকৃত নয়। ব্রিটেনের ল্যাংক্যাস্টার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডক্টর সিওভান উইয়ার একটি গবেষণায় দেখান- নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষণ সম্ভব। বরং অসম্ভব মনে করাটাই একটা মিথ বা কাল্পনিক উপকথা। উক্ত গবেষণাটি ২০১৭ সালে প্রতিবেদন আকারে বিবিসিতে প্রকাশিতও হয়েছে।
এইড ফর মেনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খালিদ মাহমুদ বলেন, চিত্রনায়ক অনিক রহমান অভিসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও র্যাবের তদন্তের মাধ্যমে সামনে এসেছে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের আড়ালে ফিরোজা নাজনীন কর্তৃক কিশোর ও পুরুষদের ওপর নারকীয় যৌন নিপীড়ন এবং জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনে পুরুষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরদের বাধ্য করার বর্ণনা। যা অবশ্যই ‘ধর্ষণ’ হিসেবে বিবেচ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।