Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে এক লন্ডন প্রবাসীকে নি:স্ব করে অন্যত্র বিয়ে করলেন সুন্দরী তরুনী : কারাগারে স্বামীসহ প্রতারক হেপি

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২২, ২:৫৬ পিএম

ডাগর ডাগর আকর্ষনীয় চোখ। নজর কাড়ে যে কারো। কিন্তু সবার কপালে সেই চোখের সাড়া মিলেনা। মিলেছিলে লন্ডন প্রবাসী ফয়েজ আহমদের। বিশ^াস আস্থা সব রেখেছিলেন প্রেমিকার ইফাত আরা হেপির উপর। কিন্তু বিশ^াস ভেংগে চূর্ণ করে দিয়েছেন প্রেমিক ফয়েজকে। নি:স্ব হয়ে ফয়েজ এখন প্রতিকার কামনায় আদালতে এসেছেন। আপাতত প্রতিকার পেয়েছেন ফয়েজ। কারগারের যেতে হয়েছে প্রতারক হেপিকে।

গত ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে ইফাত আরা হেপির নানাবাড়ি ফয়েজ আহমেদ’র বাড়িও। সেই সুবাদে দেখা সাক্ষাৎ ঘঠে। একপর্যায়ে চল মন দেয়া নেয়া। গভীরে পৌছে দুই জনের কেমিষ্ট্রি। এরপর ২০০৮ সালের জুন মাসে ভিজিটে লন্ডনে উড়ে যান ফয়েজ। কিন্তু দুরে থাকলেও অনলাইন-অফলাইনে সর্ম্পকের মধু আহরণে নিবিড় ছিলেন দু’জনই। সর্ম্পকের ঢেউ রটে যায় উভয় পরিবারে। পরস্পর প্রতিশ্রুকবদ্ধ হন জীবনে মরণে পাশাপাশি থাকবেন তারা। এরমধ্যে লন্ডনে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় ফয়েজের। দেশে ফেরা হয় না ফয়েজের। দু’জনের উত্তলা দেহ মন ঠান্ডা করতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২০১২ সালের ৮ই এপ্রিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর এবং ১০ ভরি স্বার্ণালংকার প্রদানের মাধ্যমে আক্দ সম্পন্ন হয় উভয়ের। সর্ম্পকের চিরায়িত নিয়মে স্ত্রী হেপির কাছে টাকা পাঠাতে থাকনে ফয়েজ। বিভিন্ন সময়ে প্রেরিত অর্থের পরিমান দাঁড়ায় ২৮ লক্ষ ১৬ হাজারে। বিয়টি কেবল মুখের কথা নয়, অর্থ প্রেরণের প্রমানাদিও রয়েছে ফয়েজের। অথচ সম্পর্ক এবং আর্থিক সার্পোট থাকার পরও গত ১৮ ই নভেম্বর ২০২১ সালে হেপি বিয়ে করে ফেলেন অন্য একজনকে। এঘটনায় আকাশ ভেঙ্গে মাথায় যেন পড়ে ফয়েজের। দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে ফয়েজ তার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন হেপির পরিবার। অবশেষে ফয়েজ পরিবার বষয়টি আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে সুরাহা করতে চাইলে এতে কোন আগ্রহ দেখাননি হেপির পরিবার। উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তারা ফয়েজ পরিবারের উপর। আপোষের সব কূল হারিয়ে শেষমেষ আদালতের সরনাপন্ন হন ফয়েজ পরিবার। গত ২৯ই ডিসেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে একটি মামলা দায়ের করেন ফয়েজের বড় বোন। (মামলা নং-জি আর ১৬)। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ই জানুয়ারী আম্বরখানা বড় বাজার স্বামী সহ প্রতারক হেপিকে গ্রেফতার করে এসএমপির কতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক এম এম সাইফুর রহমান শুনানি শেষে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর চাওয়া জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন হেপি ্ও তার স্বামী মিজানুর রহমানকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিয়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ