পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সদ্য শেষ হওয়া বছরে দেশের পুঁজিবাজারে ওষুধ, ব্যাংক এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলোতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। এই তিন খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা।
দেশের পুঁজিবাজারের মোট ১৯টি খাতের কোম্পানিতে বিদেশিদের কৌশলগত ও পোর্টফোলিও বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বর শেষে বিদেশিদের কাছে থাকা ওষুধ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। যা খাতটির মোট বাজার মূলধনের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ সময়ে খাতটির মোট বাজার মূলধন ছিল ৭১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
বিদেশি বিনিয়োগের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। গত বছরের নভেম্বর শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা ব্যাংকের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ৪ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের ৬ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের মোট বাজার মূলধন ছিল ৭২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা।
গত বছরের নভেম্বর শেষে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের মোট বাজার মূলধন ছিল ৪৪ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা এ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ৩ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। গত বছরের নভেম্বর শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা এ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর শেষে টেলিযোগাযোগ খাতের মোট বাজার মূলধন ছিল ৬৮ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা। গত বছরের নভেম্বর শেষে প্রকৌশল খাতের মোট বাজার মূলধন ছিল ৫৬ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা এ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ৭০৫ কোটি টাকা।
যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগের দিক দিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গত বছরের নভেম্বর শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা এ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ৪৯৫ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বাজার মূলধন ছিল ২২ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা।
গত বছরের নভেম্বর শেষে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের মোট বাজার মূলধন ছিল ৪৬ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা এ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ২২৭ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের দশমিক ৪৮ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগের দিক দিয়ে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। গত বছরের নভেম্বর শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা এ খাতের শেয়ারের বাজার মূলধন ছিল ২২০ কোটি টাকা। যা এ খাতের মোট বাজার মূলধনের ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর শেষে বস্ত্র খাতের মোট বাজার মূলধন ছিল ১৬ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা।
বিদেশি বিনিয়োগের দিক দিয়ে নবম ও দশম অবস্থানে রয়েছে বিবিধ ও বিমা খাত। এ দুই খাতে গত বছরের নভেম্বর শেষে বিদেশিদের কাছে থাকা শেয়ারের বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৭৭ কোটি ও ৯১ কোটি টাকা। এছাড়া সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, সেবা ও আবাসন, মিউচুয়াল ফান্ড, চামড়া, সিরামিকস এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানিগুলোতে কিছু পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।