২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে এই যোগটি শরীরে উৎপাদিত হয়।
আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এটি শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের শরীরে যখন ফ্রি র্যাডিকেল জমা হয়, তখন সেগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নামে একটি অবস্থার সৃষ্টি করে। আর এ অবস্থাটি আমাদের কোষের ডিএনএ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোর ক্ষতি করতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী অক্সিডেটিভ স্ট্রেস আমাদের হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
জানুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে—
১. ডার্ক চকোলেট
শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য যে ডার্ক চকোলেটে বিভিন্ন উপকারী খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এটি আপনার শরীরের প্রদাহ কমাতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডার্ক চকোলেট রক্তের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে, 'ভালো' এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি এবং 'খারাপ' এলডিএল কোলেস্টেরলকে অক্সিডাইজ হওয়া থেকে রোধ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২. পালং শাক
সববচেয়ে পুষ্টিকর শাকের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পালং শাক। এতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ড ভরপুর থাকে।
এ ছাড়া পালং শাক লুটিন এবং জেক্সানথিনের একটি দুর্দান্ত উত্স, দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকারক ই্উভি আলো এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চোখের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি র্যাডিকেল হতে পারে।
৩. বিটরুট
বিটরুট হচ্ছে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক ভালো এটি উত্স। বিশেষ করে বেটালাইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি গ্রুপে সমৃদ্ধ যার অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। বেশ কয়েকটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোলন ও পাচনতন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে বিটরুট।
৪. বেরি জাতীয় ফল
বিভিন্ন রেরিজাতীয় ফল যেমন, ব্লুবেরী, স্ট্রবেরী, ইত্যাদি আমাদের দেশে কিছুটা কম পাওয়া গেলেও এ ধরনের ফলগুলো কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক ভালো উৎস। এসব ফলে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৫. লাল বাঁধাকপি
পুষ্টিগুনের কারণে লাল বাঁধাকপি অনেক সুপরিচিত। এতে ভিটামিন সি, কে, এ এবং উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর লাল বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমাতে, হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ডটকম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।