বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এস.এম. আনিছুজ্জামান নৌকা প্রতীক নিয়ে মাত্র ১১৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের হার এক শতাংশেরও কম। এ ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এস এম কামরুল ইসলাম কামরান শিকদার। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ দাউদ হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ১৭৫ ভোট।
নৌকা প্রতীকের প্রার্র্থী এস. এম. আনিছুজ্জামান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য। বিজয়ী প্রার্থী কামরান শিকদার লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নান রুনুর ছেলে। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কামরান ও দাউদ হোসেনকে ইতিমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
লাহুড়িয়া ইউপির মোট ভোটার ২০ হাজার ৬৮৯ জন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ৭৩৬টি । এর মধ্যে বৈধ ভোট ১৬ হাজার ৫৫৫টি । বাতিল হয়েছে ১৮১টি ভোট। বৈধ ভোটের মধ্যে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছে ৯৯ শতাংশের বেশি ভোট। নৌকার প্রার্থী এস.এম. আনিছুজ্জামান ১ শতাংশ ভোটও পাননি।
চতুর্থ ধাপে গত ২৬ ডিসেম্বর লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকজন সাধারন ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুরো ইউনিয়নের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারায় বিভক্ত। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন শিকদার আবদুল হান্নান ও তার ছেলে কামরান শিকদার। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ দাউদ হোসেন। এই দুটি ধারার বাইরে ইউনিয়নে কোনো নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী এস .এম. আনিছুজ্জামান জানান, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের অর্থ ও পেশী শক্তির কারনে নৌকার ভোটাররা তাদের ভোট দিয়েছে।এছাড়া উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করেনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ইউনিয়নে দলের বর্ধিত সভা, পথ সভা অনুষ্ঠিত হলেও লাহুড়িয়া ইউনিয়নে তা হয়নি। এ জন্য ভোট আমি ভোট পাইনি।এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী এস এম কামরুল ইসলাম কামরান শিকদার বলেন, আনিছুজ্জামান এলাকায় থাকেন না। এলাকার সাধারন মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে না থাকায় জনগণ তাকে ভোট দেয় নাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।