পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বিদ্যমান আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আরেক ফেরীওয়ালা যার নাম আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দেশের বরণ্যে আইনজীবীরা বলছেন যে, এই লোকটা আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আইনমন্ত্রী বুধবার বলে দিয়েছেন যে, আইনে নাই বিদেশে যাওয়ার। আরে আইনমন্ত্রী আপনি তো নিজের কথাটা এটা আইনের বিধানেও নাই। আপনার শেখ হাসিনা আপনাকে যেটা শিখিয়ে দিয়েছেন সেই কথাই বলছেন। আপনি আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ওই দিনের ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ ও সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার পাকস্থলী থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তার ডাক্তাররা বলেছেন, তার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময়ে একটা বড় বিপদ ঘটে যাবে। তারপরেও এতো পাষাণ, এতো পাথর, এতো নির্দয় এই প্রধানমন্ত্রী আর তার আইনমন্ত্রী।
রিজভী বলেন, যারা বাংলাদেশের হালহকিকত নিয়ে গবেষণা করেন তারা বলছেন, এই পর্যন্ত ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হযেছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা এভাবে টাকা পাচার করেন, মানব পাচার করেন, তারাই ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাত্রের পাচার করেছে। তারপরও ক্ষমতাসীনরা গলাবাজী করেন। যুগ যুগ ধরে এটা প্রচারিত চোরের মাইর বড় গলা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৮ সালের এই ৩০ ডিসেম্বর গোটা জাতিকে পরাজিত করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু জাতি তো পরাজিত হয় না। এই জাতির দীর্ঘ ইতিহাস, ৯ মাসের যুদ্ধের ইতিহাস, হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাস। আবার এই জাতি তীব্র গতিতে জেগে উঠবে। শেখ হাসিনার ময়ুরের সিংহাসন আবার রাস্তায় লুটিয়ে দেবে, আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে, আবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন, আবার গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস বইবে- সেই প্রত্যায় আজকে ব্যক্ত করছি। বাংলাদেশের বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলাসহ সরকারের দমননীতির কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির শ্যাম ওবায়েদ, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছেন আমাদের সংবাদদাতারা -
বরিশাল ব্যুরো জানান, ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল, অবৈধ সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও কালো পতাকার মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
গতকাল বামগণতান্ত্রিক জোটের বরিশাল জেলা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক দুলাল মজুমদারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমরেড অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম দেওয়ান আ. রসিদ নিলু, অধ্যাপক নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, একে আজাদ, হারুর আর রসিদ, ডা. মনীষা চক্রবর্তী, হারুনর রসিদ ও জাফর আহমেদ তালুকদার।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে ৩০ই ডিসেম্বর রাতে ব্যালটে সিল মেরে জনমত ও সমর্থনবিহীন এক অবৈধ সংসদ ও সরকার গঠন করা হয়েছে। এ সরকারের তিন বছরে দেশে অভাব ও দারিদ্র বেড়েছে। সেই সাথে মানুষের আয় কমেছে। অন্যদিকে দেশে ১৭ হাজারের উপর নতুন কোটিপতি বেড়েছে। সরকারের এসব গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কন্ঠ রোধ সহ যাতে গণআন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামের কালো আইনে জনগণকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করা হচ্ছে।
বগুড়া ব্যুরো জানান, বগুড়া জেলা বিএনপি অফিসের সামনে এক বিরাট সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা বলেন, দেশে এখন ফ্যাসিস্ট ও পারিবারিক শাসন চলছে। ব্যাক্তি বিশেষের পারিবারিক শাসন চিরস্থায়ী ও নিরংকুশ করতেই বেগম খালেদা জিয়াকে মনে করা হচ্ছে একমাত্র বাধা। তাই তাকে তিলে তিলে হত্যা করতেই মুক্তি দেয়া হচ্ছে না বা সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিএনপির এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। বক্তব্য রাখেন জয়নাল আবেদীন চান, আলী আজগর হেনা, এম আর ইসলাম স্বাধীন প্রমুখ। এর আগে দুপুরে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় এক সমাবেশে বাম জোট নেতারা বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্রের পোশাকে চলছে ফ্যাসিবাদি শাসন। এই শাসনের অবসান ব্যতিত দেশে সুশাসন বা মানবাধিকারের আশা দুরাশা মাত্র।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোট নেতা ও বগুড়া জেলা সিপিবি সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন , বাসদ আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টু, জেলা সদস্য রাধা রানী বর্মন , জেলা সিপিবি সম্পাদক আমিনুল ফরিদ প্রমুখ ।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে সংলগ্ন ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।
কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে পুলিশ এসে বাঁধা দেয় এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের নিকট থেকে হ্যান্ডমাইক ও ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়। এ সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকে মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয় এবং আমাদের ব্যানার ফেস্টুন ও মাইক কেড়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় আসে জনগণের উপর চেপে বসেছে এই অবৈধ সরকার। এই সরকারের পতনের ঘন্টা বেজে উঠেছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও এদেশের প্রধানমন্ত্রী সব। এদেশের মানুষ আবারও তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি›র সভাপতিত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সদস্য রিয়াদ মো. চৌধুরীর, রুহুল আমীন শিকদার, শাহ আলম হিরা, অ্যাডভোকেট গুলজার হোসেন, একরামুল কবির মামুন, জুয়েল আহমেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম মোল্লা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিম শরিফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের আহবায়ক দিদার মাসুদ ময়না, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন রবিন, যুবদল নেতা আঃ খালেক টিপু, ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকী প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোটাধিকার হরণ দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন করেছে জেলা বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গতকাল দলীয় অফিসের সামনে শহিদ রফিক সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল বাতেন,সিনিয়র যুঘ্ন সাধারন সম্পাদক সতেন্য কান্ত পন্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. নূরতাজ আলম বাহার, নাসির উদ্দীন যাদু, জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক আহমেদ দীপু প্রমূখ।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, দুপুরে ভিক্টোরিয়া রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, কাজী শফিকুল রহমান লিটন প্রমুখ।
এসময় জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।