Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজারের উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৪১ পিএম

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে উন্মুক্ত স্থানে ২০২২ সালকে স্বাগত জানাতে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি এ সতর্কতা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশও বেশ কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।

তবে দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন কক্সবাজারে ২০২১ সালের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় ও রাতে বিভিন্ন হোটেলের ইনডোরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে “থার্টি ফার্স্ট নাইট” কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, “থার্টি ফাস্ট নাইট” উপলক্ষে এ পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০% রুম বুকিং হয়েছে। সৈকতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো আয়োজন হচ্ছে না। তাই এবার কক্সবাজারে পর্যটক আগমন আশানুরূপ হবে না।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লোনা জলে গা ভাসানো আর বালুকা বেলায় দাঁড়িয়ে নতুন বছরের নতুন সূর্যের রোদে আলোকিত হয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে এমন আশা ।

আবুল কাশেম জানান, নতুন বছর ভালোভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ এবার একটি বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। তা হচ্ছে রুমে দুজনের জায়গায় তিনজন, তিনজনের জায়গায় চারজন এভাবে প্রতিটি রুমে অতিরিক্ত পর্যটক থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হবে না। নিয়ন্ত্রিত মূল্যে সব রুম বুকিং দেওয়া হচ্ছে।

টুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, কক্সবাজারের পর্যটকদের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করছেন। এবার থার্টি ফাস্ট নাইটসহ পুরো পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে এবং সেভাবে মাঠে রয়েছের টুরিস্ট পুলিশ।

তিনি বলেন, “কক্সবাজারে টুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা কিছুটা কম রয়েছে। এখন ২০৮ জন নিয়োজিত রয়েছেন। শিগগিরই মোট ২৫০ জন টুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত করা হবে কক্সবাজারে।”

কক্সবাজারে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “কক্সবাজার শুধু দেশের নয় পৃথিবীর একটি আকর্ষণীয় পর্যটন জোন। তাই যে কোনো বিশেষ দিন উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকে। এবারও পর্যটকরা থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একাধিক বৈঠকে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুধু থার্টি ফাস্ট নাইট বা বর্ষবরণ নয়, ভরা পর্যটন মৌসুমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবেন।”

তিনি জানান, সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবার উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফাস্ট নাইটের কোনো আয়োজন করা যাবে না। তাই কক্সবাজারেও কাউকে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ