বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের ৮১টি ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী, বিএনপি (স্বতন্ত্র), জামাত, জাপার প্রার্থীদের ঢেউয়ে নৌকার ভরাডুবি। গতকাল রোববার (২৬ ডিসেম্বর)
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের নয়টি উপজেলার ৮১টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে রাতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩নং শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের আ'লীগে প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বৈটিকর বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ এ সময় মাইকিং করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী।
এ ঘটনায় এক সাইকেল মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে ৮ থেকে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুস সালাম (৪০)। সালাম লক্ষিপাশা ইউপির রামপা দক্ষিণ ভাগ এলাকার বাসিন্দা।
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়াও বেশিরভাগ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় এই ধাপের নির্বাচন। রাতে গণনা শেষে সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেছেন।
উপজেলাগুলো হচ্ছে- মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, হবিগঞ্জের লাখাই, বানিয়াচং, সিলেটের বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও জগন্নাথপুর।
এসব ইউনিয়নের ৪৭টিতে বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র (বিএনপি), জামায়াত, জাপার প্রার্থীদের দাপটে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং তিনটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। রাজনগর উপজেলার আট ইউনিয়নের চারটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, তিনটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জের লাখাই ও বানিয়াচং উপজেলার ২০ ইউনিয়নের ১৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে নৌকার বিজয় এসেছে ৩টি ইউনিয়নে। বাকি ৭টির মধ্যে আওয়ামী লীগের দুটিতে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র), দুটিতে জামায়াত (স্বতন্ত্র), দুটিতে বিএনপির (স্বতন্ত্র) ও এক প্রবাসী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। গোলাপগঞ্জের চারটিতে আওয়ামী লীগ, ২টিতে বিদ্রোহী, ২টিতে জামায়ত ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন।
সুনামগঞ্জের তিন উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রতীক নৌকা জয় পেয়েছে সাতটিতে। আর ৯টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, চারটিতে বিএনপি এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার: ১ নম্বর খলিলপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু মিয়া চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৫২৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মো. অলিউর রহমান পেয়েছেন ৪৭৪২ ভোট। ২ নম্বর মনুমুখ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমদাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৩৬৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মর্তুজা পেয়েছেন ৩১৪৯ ভোট। ৩ নম্বর কামালপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আপ্পান আলী। তিনি পেয়েছেন ২২৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী ফয়সল আহমেদ পেয়েছেন ২১৭৯ ভোট। ৪ নম্বর আপার কাগাবলা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমন মোস্তফা। তিনি পেয়েছেন ৩৪৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৭৯২ ভোট। ৫ নম্বর আখাইলকুড়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ মো. বদরুজ্জামান চুনু। তিনি পেয়েছেন ২৮৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী শামীম আহমেদ পেয়েছেন ২৬৭২ ভোট। ৬ নম্বর একাটুনা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান। তিনি পেয়েছেন ৬৭৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ গিয়াসউদ্দিন পেয়েছেন ২১৭৯ ভোট। ৭ নম্বর চাঁদনীঘাট ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আখতার উদ্দিন আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৫৩৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহেরুল ইসলাম ভমর পেয়েছেন ৪৪০৭ ভোট। ৮ নম্বর কনকপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রুবেল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৩৩৪৩ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুবায়ের আহমদ পেয়েছেন ২৬৯০ ভোট। ৯ নম্বর আমতৈল ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুজিত চন্দ্র দাশ। তিনি পেয়েছেন ৪০৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমান পেয়েছেন ২৪০৭ ভোট। ১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৩৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুর রহমান পেয়েছেন ২৬৫০ ভোট। ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬৪৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তোফায়েল আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৯৫ ভোট। ১২ নম্বর গিয়াসনগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন টিটু। তিনি পেয়েছেন ৫৫৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জিলা মিয়া পেয়েছেন ৪৪৩০ ভোট।
রাজনগর: ফতেপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নকুল চন্দ্র দাশ, প্রাপ্ত ভোট ৬১৪৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত আমীর আলী, প্রাপ্ত ভোট ৪৮৫২। উত্তরভাগ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, প্রাপ্ত ভোট ৫২০৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক, প্রাপ্ত ভোট ৫০৭৫। মুন্সিবাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাহেল হোসেন, প্রাপ্ত ভোট ৯১৩১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছালেক মিয়া, প্রাপ্ত ভোট ৬০৭৫। পাঁচগাঁও ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ছানা, প্রাপ্ত ভোট ৪২৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুল ইসলাম বাচ্চু, প্রাপ্ত ভোট ৩৮৬০। রাজনগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, প্রাপ্ত ভোট ৫৪৩৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সোহেল, প্রাপ্ত ভোট ৪৭৮৩। টেংরা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু খান, প্রাপ্ত ভোট ৬১৮৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আকমল হোসেন, প্রাপ্ত ভোট ৫৯৮৬। কামারচাক ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউর রহমান। মনসুরনগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিলন বখত, প্রাপ্ত ভোট ৬১৯৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মিলন, প্রাপ্ত ভোট ৪৬৫২।
বানিয়াচংয়: বানিয়াচং উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নে মো. হায়দারুজ্জামান খান (ধন মিয়া), ৩ নম্বর দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নে মো. আরফান উদ্দিন, ৭ নম্বর বড়ইউড়ি ইউনিয়নে ফরিদ আহমেদ, ৯ নম্বর পুকড়া ইউনিয়নে হাফেজ শামরুল ইসলাম, ১০ নম্বর সুবিদপুর ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার জয় কুমার দাস, ১১ নম্বর মক্রমপুর ইউনিয়নে মো. আব্দুল আহাদ, ১৩ নম্বর মন্দরী ইউনিয়নে শেখ শামছুল হক চৌধুরী, ১৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান মিজান।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ৫ নম্বর দৌলতপুর মঞ্জু কুমার দাস, ৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নে এরশাদ আলী, ৮ নম্বর খাগাউড়া ইউনিয়নে শাহ মাসউদ কুরাইশী মাক্কী, ১২ নম্বর সুজাতপুর ইউনিয়নে সাদিকুর রহমান। এছাড়া ১৫ নম্বর পৈলারকান্দি ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন।
লাখাইয়: লাখাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ আহমেদ রুপন (ঘাড়া), মোড়াকরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাশেম মোল্লা (মোটর সাইকেল), বামৈ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাদ হোসেন ফুরুক (ঘোড়া), বুল্লা ইউনিয়নে খোকন চন্দ্র গোপ (নৌকা), করাব ইউনিয়নে মো. আব্দুল কুদ্দুছ (নৌকা) ও মুড়াউক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নোমান।
বিয়ানীবাজার: আলীনগর ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, শেওলায় নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিন, দুবাগে জালাল উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তুতা, মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিন, তিলপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান (বিএনপি), মুড়িয়ায় ফরিদ আল মামুন (জামায়াত স্বতন্ত্র), মুল্লাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান (বিএনপি স্বতন্ত্র), লাউতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন (জামায়াত) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বিয়ানীবাজারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
গোলাপগঞ্জ: উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবদুস সামাদ, গোলাপগঞ্জ সদরে নৌকার প্রার্থী তজম্মুল আলী, ফুলবাড়ীতে নৌকার প্রার্থী আবদুল হানিফ খান, লক্ষীপাশায় আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মাহতাব উদ্দিন জেবুল, ঢাকাদক্ষিণে ঘোড়া প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) এম আবদুর রহিম, লক্ষণাবন্দে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি নেতা খলকুর রহমান, ভাদেশ্বরে ঘোড়া প্রতীকে বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) শামীম আহমদ, আমুড়ায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, উত্তর বাদেপাশায় আনারস প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) জাহিদ আহমদ ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম কবীর উদ্দিন জয়লাভ করেছেন।
দিরাই: উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নে শৈলেন চন্দ্র তালুকদার (নৌকা), করিমপুর ইউনিয়নের লিটন চন্দ্র দাস (নৌকা), জগদল ইউনিয়নের হুমায়ূন রশীদ লাভলু (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ভাটিপাড়া ইউনিয়নের বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতা (মোটরসাইকেল), রাজানগর ইউনিয়নের জুয়েল মিয়া (চশমা), চরনারচর ইউনিয়নের পরিতোষ রায় (আনারস) ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের একরার হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।
জগন্নাথপুর:উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী রফিক মিয়া (আনারস), পাটলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঙুর মিয়া (নৌকা), ছিলাউরা হলদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (আনারস), রানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ছদরুল ইসলাম (নৌকা), সৈয়দপুর শাহারপাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসান (নৌকা), আষাঢ়কান্দি ইউনিয়নে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ আয়ূব খান (মোটরসাইকেল) এবং পাইলগাঁও বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ মখলুস মিয়া (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
বিশ্বম্ভরপুর: উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টি, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী একটিতে বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে সালুকাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী (নৌকা), পলাশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল আহমদ (মোটরসাইকেল), ধনপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মিলন মিয়া (ঘোড়া), দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. ছবাব মিয়া (মোটরসাইকেল), ফতেপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মো. ফারুক আহমদ বিজয়ী হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।