Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর গুলি, নিহত ৩০

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১১ পিএম

মিয়ানমারে দ্বন্দ্ব সংঘাতে বিধ্বস্ত কায়া রাজ্যে নারী ও শিশুসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠী, গণমাধ্যম ও একজন বাসিন্দা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কারেনি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, শনিবার হাপ্রুসো শহরের মো সো গ্রামের কাছে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের হাতে নিহত হয়েছেন অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষেরা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নারী শিশুসহ অনেকেই। এমন অমানবিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিরোধী গোষ্ঠীর কিছু সশস্ত্র সদস্যকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স হচ্ছে সামরিক জান্তা বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকটি বেসামরিক মিলিশিয়ার মধ্যে অন্যতম। ফোর্সটির দাবি নিহতরা তাদের দলের সদস্য নয়। বরং সাধারণ মানুষ। তাদের একজন কমান্ডার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমন হত্যাকাণ্ডে আমরা হতবাক। কারণ মরদেহগুলো শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, শুক্রবার রাতে তিনি গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। তবে সংঘর্ষ চলমান থাকায় ঘটনাস্থলে যাননি। তবে সকালে সেখানে গিয়ে তিনি নারী, শিশুসহ অনেক পোড়া মরদেহ দেখতে পান।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা।

অভুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০র বেশি মানুষ নিহত এবং ১১ হাজারের বেশি বন্দি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ