মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইতিহাস গড়ার জন্য প্রস্তুত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিশ্বের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় মহাকাশ বিষয়ক এই টেলিস্কোপ যাত্রা শুরু করবে। ফরাসি গায়েনা থেকে ইউরোপিয়ান আরিয়ান রকেটের পিঠে চেপে মহাকাশে যাত্রা করছে সে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ তৈরিতে খরচ পড়েছে কমপক্ষে ১০০০ কোটি ডলার। ৩০ বছর ধরে এর ডিজাইন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই টেলিস্কোপ হতে যাচ্ছে একবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার মধ্যে অন্যতম। এর উদ্দেশ্য হবে এই মহাবিশ্বে আলো বিকিরণকারী যেকোনো নিকটবর্তী নক্ষত্র এবং ছায়াপথের ছবি ধারণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানো। এ ছাড়া দূরে অবস্থিত গ্রহগুলোর বায়ুম-ল, আবহাওয়া সম্পর্কেও অনুসন্ধানের সক্ষমতা আছে এই টেলিস্কোপের।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করা যাবে যে, দূরে অবস্থিত গ্রহগুলোতে প্রাণের কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিষুবীয় কোউরোউ মহাকাশ বিষয়ক লঞ্চপ্যাড থেকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ আকাশে উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে। তাকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি। তবে উদ্বেগের মাত্রাও কম নয়।
মহাকাশে স্থান পেতে এর যাত্রাপথের প্রথম ২৭ মিনিট হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। এরপর এই টেলিস্কোপ জটিল কিছু ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হবে। এ সময়ে অবজার্ভেটরি কোনো কাজ করবে না। তবে আশা করা হচ্ছে, এ সময়ে জটিল কার্যকলাপ সম্পন্ন হবে ত্রুটিহীন অবস্থায়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক এজেন্সির প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, ব্যতিক্রমী এক মিশন হবে ‘ওয়েব’-এর। যখন আমরা বড় স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাই তখন কি ঘটতে পারে তার এক উজ্বল উদাহরণ হতে পারে এই টেলিস্কোপ। আমরা সবসময়ই জানি যে, এই প্রকল্পটির ঝুঁকি অনেক বেশি। কিন্তু যখন আপনি বড় কোনো পুরস্কার আশা করবেন, তখন আপনাকে বড় কোনো ঝুঁকি নিতেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাপোলো মুন’ কর্মসূচির অন্যতম প্রবক্তার নাম অনুসারে এই টেলিস্কোপের নাম জেমস ওয়েব রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পের অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং কানাডার মহাকাশ বিষয়ক এজেন্সিগুলো। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের জন্যই ওয়েব মিশন গড়ে তোলা হয়। ৩১ বছর নিজের কক্ষপথে আবর্তিত হচ্ছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। এখন তার অপারেশন প্রায় শেষের পথে। ফলে মহাশূন্যের আরো গভীরে প্রবেশ করবে ওয়েব। এতে আছে ৬.৫ মিটার চওড়া স্বর্ণালী ‘মিরর’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।