পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কাঙ্খিত শ্রেণিতে ভর্তি না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী জেলা স্কুল ও সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সরকারি স্কুলে লটারীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ভর্তি নয় কেন? আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করুন স্লোগানে, গতকাল বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করে অভিভাবকগণ ।
অভিভাবকরা বলেন, গত নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গত ২৫ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। গত ৮ ডিসেম্বর শেষ হয় আবেদন প্রক্রিয়া। প্রতি আবেদনকারী একই বিভাগের পছন্দ ক্রমনুসারে সর্বাধিক ৫টি বিদ্যালয় নির্বাচন করে। আবেদন পরবর্তী গত ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়সমূহে লটারি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।
তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি ১০ বছরের নিচে কোনো শিক্ষার্থী আবেদন বা ভর্তি হতে পারবে না। কিন্তু লটারি শেষ হওয়ার পর এখন ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের বয়স কম, জন্মনিবন্ধন ও আবেদনে গ্রাম/ওয়ার্ডের তথ্য ভুল দেখিয়ে ভর্তি নিচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবক নজরুল ইসলাম চৌধুরী উজ্জল বলেন, আমার মেয়ে জান্নাত নূর সদর উপজেলার করুমুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণি পাসের পর অনলাইনে ভর্তির জন্য নোয়াখালী সরকারি গালর্স স্কুলে আবেদন করে। আবেদনে বি ইউনিটে ১৭ নম্বর সিরিয়ালে উত্তীর্ণ হয় সে। বিদ্যালয় থেকে ট্যান্সাপার (টিসি) নিয়ে গালর্স স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য গেলে তার জন্মনিবন্ধনে বয়স ১০বছর হতে ৫দিন বাকি আছে কারণ দেখিয়ে ভর্তি নেয়নি। আগের বিদ্যালয় থেকে টিসি নিয়ে আসার পর আবার যেখানে উত্তীর্ণ হয়েছে সেখানে ভর্তি হতে না পারলে তার মেয়ের শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর পিছিয়ে যাবে। তাই তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে মেয়ের ভর্তির জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন।
অভিভাবক সারমিন সুলতানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বয়স এবং ওয়ার্ডের বিষয়টি উল্লেখ না করে এখন ভর্তির সময় এসব কারণ দেখিয়ে শিশুদের ভর্তি না নেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। বয়সসীমা নির্ধারণ না করে কেন সরকারিভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে? কেন বা ওইসব শিক্ষার্থীদের ফলাফল দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিলো। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে সৈয়দা আফরা ইয়াছমিনের জন্মনিবন্ধনে চৌমুহনী পৌরসভার ওয়ার্ড নম্বর ৩ দেওয়া আছে। কিন্তু আবেদন করার সময় ভুলবসত তা ৪নম্বর ওয়ার্ড উল্লেখ করায় তাকে এখন ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।
মরিয়ম আক্তার মিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তি লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর, আমার জন্মনিবন্ধনে বয়স মাত্র ৭ মাস কম হওয়ায় গালর্স স্কুলে আমাকে এখন ভর্তি নিচ্ছে না। শিক্ষা জীবনের শুরুতে এমন একটি ধাক্কা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, সরকারি ভাবে ভর্তি ইচ্ছুকদের বয়স নির্ধারণ করা আছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের বয়স ৬ বছর হতে হবে। সে হিসেবে ২য় হতে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণ হবে। ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। ভর্তির সংক্রান্ত সকল বিষয় বোর্ড নিয়ন্ত্রন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।