বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সমাবেশ পন্ড হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী গুলি ও ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ও কয়েকশত রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষ আতংকিত মানুষ চারদিকে ছুটোছুটি শুরু করে। আশপাশ এলাকার বাসাবাড়ির নারী-পুরুষ এর মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের দাবী বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। আর বিএনপির দাবী সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল হবিগঞ্জে বেলা ২টায় শহরের শায়েস্তানগরস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ফারুক, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ প্রায় ২০ জন কেন্দ্রীয় নেতা হবিগঞ্জ আসেন। নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
বেলা পৌণে ২টার দিকে শহরের শায়েস্তানগর বাজার এলাকায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শুরু হয় পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। প্রায় আধা ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকালে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুরো শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। সংঘর্ষে ১০/১২জন পুলিশ সহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তুষার, ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই তিনিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হবিগঞ্জ আসেন। তারা সমাবেশস্থলে যাবার সময় পুলিশ বাধা প্রদান করে। পরে নেতাকর্মীরা তাদের সমাবেশ স্থলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা প্রদান করে। সমাবেশস্থলের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে নির্বচারে গুলি বর্ষণ করে। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা বিনা উস্কানিতে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ার গ্যাস ও গুলি ছুড়ে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।