Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খিদে কমে যাওয়া

প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খিদে কমে যাওয়ার অনেক রোগী দেখতে পাওয়া যায়। প্রায়ই এ সমস্যা নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে হাজির হন। বিভিন্ন কারণে খিদে কমে যেতে পারে। খিদে কমে গেলেই ডমপেরিডন বা সাইপ্রোহেপ্টিডিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। প্রথমে কারণ বের করার চেষ্টা করা উচিত। তারপর সে সমস্যার সমাধান করলে খিদে কমে যাওয়া ভালো হয়ে যাবে।
খিদে কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। এরমধ্যে আছে :
১। জন্ডিস, ২। পেপটিক আলসার, ৩। পাকস্থলীর ক্যান্সার, ৪। কোষ্ঠকাঠিন্য, ৫। জ্বর, ৬। ধূমপান, ৭। মানসিক রোগ যেমন অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা, ৮। দুশ্চিন্তা, অশান্তি, ৯। মানসিক অবসাদ, ১০। বিভিন্ন ওষুধ, যেমন ব্যথার ওষুধ, ডিগক্সিন, বিভিন্ন এন্টিডিপ্রেসেন্ট ইত্যাদি, ১১। লিভারের অসুখ, ১২। বিভিন্ন ক্যান্সার ইত্যাদি
তবে উপরোক্ত কারণ ছাড়ও খিদে কমতে পারে। খিদে কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। অবহেলা করা ঠিক নয়। নিজে নিজে বা কারো পরামর্শ শুনে ওষুধ খাওয়া যাবে না।
চিকিৎসক ভালোভাবে ইতিহাস নেবেন। শারীরিক পরীক্ষা করবেন। ল্যাবটেস্ট করতে দিবেন। তাহলে নিশ্চিতভাবে খিদে কমার কারণ বের করা যাবে।
যে কারণে খিদে কমে গেছে সে কারণ বের করে চিকিৎসা করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে খিদে কমে গেলে ঘি, মাখন, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, রিচ ফুড খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ধূমপান করা যাবে না। চা-কফি পরিমিতি পরিমাণে খেতে হবে।
মানসিক সমস্যার কারণে খিদে কমে গেলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফলমূলও শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে। খিদে কমে যাওয়া সমস্যা হয় না।
আশা করি সবাই সচেতন হবে। রোগ হলে দ্রুত চিকিৎসক দেখান। তাতে অনেক জটিল প্রতিরোধ করা যায়।
ষ ডাঃ মো. ফজলুল কবির পাভেল



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খিদে কমে যাওয়া

২৬ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন