বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিয়ে বাড়িতে যেখানে নাচ-গান আর হৈহুল্লা হয়, সেখানে ভিন্ন আয়োজন করলেন কনের বাবা। আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে মোংলা উপজেলা চিলা ইউনিয়নে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার এতিম শিশুদের দাওয়াত দিয়ে কোরআন খতমের আয়োজন করে অনন্য নজির স্থাপন করলেন বাবা আবু সাইদ। এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকার সবাই।
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি ৯নং ওয়ার্ডের আবু সাইদ শেখের বড় মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৯) এর সাথে ঐ গ্রামের জাহাঙ্গীর ফরাজির পুত্র হাফেজ মোঃ রিয়াজের (২৪) এর বিয়ের অনুষ্ঠানে গান বাজনা না বাজিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৩০ জন এতিম শিশুকে দাওয়াত দিয়ে কোরআন তেলওয়াতের ব্যবস্থা করেন কনের বাবা আবু সাইদ। এতে এলাকার মানুষেরা মাঝে অন্য রকম অনুভূতি দেখা দিয়েছে। এলাকার মানুষের প্রসংশায় ভাসছে কনের বাবা। অপসংস্কৃতি বাদ দিয়ে ইসলামি সংস্কৃতি ফিরে আসবে বলে মনে করেন এলাকার সাধারন মানুষ।
জয়মনি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ নুরে আলম বলেন, বিয়ে একটি সর্বজন স্বীকৃত পবিত্র এবং সামাজিক বন্ধন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণী সমাজের এবং ধর্মীয় রীতিনীতি সমাজের এবং পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা স্পষ্ট করে বলছেন। বিয়ের মাধ্যমে দুইজন ব্যক্তি সংসার শুরু হয়। তাই বর্তমান সমাজে বিয়ে বাড়ী সাধারনত নাচ-গান আর অন্য রকম আয়োজনের মধ্যেই দিনটি অতিবাহিত করার কথা। কিন্তু কনের বাবার পক্ষ থেকে যে কোরআন তেলওয়াতের আয়োজন করা এটা প্রশংসনীয়। আমরা চাই এই রেওয়াজ যদি সব জায়গায় ছড়িয়ে পরে তবে সমাজের বেহায়াপনা আর থাকবেনা বলে মনে করেন হাফেজিয়া মাদ্রাসার এ শিক্ষক।
কনের বাবা আবু সাইদ বলেন, আমার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের সাথে জাহাঙ্গীর ফরাজির পুত্র হাফেজ মিরাজের সাথে গত দেড় মাস আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ের প্রথম রিতী কাবিন করে রাখা হয়েছিল। আজ ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একজন হাফেজ স্বামীর হাতে আমার মেয়েকে তুলে দিচ্ছি। আর এ জন্যই আমি অন্য কোন আয়োজন না করে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করেছি। আমরা বিপদে পড়লে যেখানে আল্লাহকে ডাকি এবং সে বিপদ থেকে আল্লাহ ছাড়া কেউ রক্ষা করার থাকেনা তাই আমি বিশ্বাস করি এতে আমার মেয়ের সংসার জীবন অনেক সুখে ও সাচ্ছন্দ্যে সুখের হবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল রহমান মল্লিক বলেন, আমার ওয়ার্ডে এমন একটি আয়োজনের কারনে আমি খুব আনন্দিত। আমার প্রতিবেশী আবু সাইদের এমন আয়োজন আসেই প্রশংসার দাবিদার।
ব্যতিক্রমী এ বিয়ে ব্যাপারে চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন জানান, কাবিনের সময় আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। মেয়ের বাবা আবু সাইদ একজন নামাজি ও ভালো মনের মানুষ। আর এ জন্যই তার এমন কোরআন খতমের আয়োজন। আর আমি এ আয়োজনে ব্যাক্তিগত ভাবে খুব খুশী। আমার ইউনিয়নে এর আগে এমন কোন আয়োজন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।