গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানী থানার চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার এ কথা বলেন।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে এবং মামলার বাদী তার অভিযোগে আসামির নাম উল্লেখ করার পরও অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ঘটনাটি আমিও জানি। নাম না দেওয়ার কারণ, ঘটনা কী, সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার দোষ, সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই সাধারণ মানুষ যেভাবে বিচার পান, তার বিষয়টি সেভাবে দেখা হবে। তার মামলার বিষয়ে গুলশান বিভাগ কাজ করেছে।’
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকার চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কে দ্রুতগতির একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির চাপায় আহত হন মনোরঞ্জন হাজং। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থার কারণে অস্ত্রোপচার করে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এরপর তাকে শাহবাগে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত মনোরঞ্জন হাজং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার। তার মেয়ে মহুয়া হাজং ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে ডিএমপিতে কর্মরত। দুর্ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। এমনকি ঘটনার পর পথচারীরা চাপা দেওয়া সেই বিএমডব্লিউ গাড়ি, এর চালকসহ অন্য যাত্রীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।