Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওমরাহ টিকিট সিন্ডিকেটের দখলে

সংবাদ সম্মেলনে-হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:১১ পিএম

ওমরাহ টিকিট সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে। ঢাকা-জেদ্দা রুটে বিমানের শত শত টিকিট ব্লক করে রাখছে সিন্ডিকেট চক্র। বিমানের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগ সাজস করে বুকিং অপশনে টিকিট ব্লক করে রাখায় কোনো সিট খালি নেই শো’করছে। ঢাকা-জেদ্দা রুটে বিমানের ভাড়া হচ্ছে ৬৭ হাজার টাকা কিন্তু টিকিট সিন্ডিকেট চক্র তা’ বিক্রি করছে ৭৮ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকায়। প্রতিটি টিকিটে ওমরাযাত্রীদের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র।

ওমরাহ টিকিট সিন্ডিকেটের কবল থেকে পুনরুদ্ধার করে ওমরাহযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে। টিকিট সিন্ডিকেট চক্র ও বিমানের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। আজ শনিবার সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ড.আব্দুল্লাহ আল নাসের লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের প্যানেল প্রধান আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া, হাবের সাবেক শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.তাজুল ইসলাম, মদিনা স্টার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক ও মোস্তফা এয়ার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী আবু দাউদ ফয়সাল।

সংবাদ সম্মেলনে বলায়, হজ ও ওমরাহ মৌসুম আসলেই বিমান হঠাৎ করেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয় যা অনৈতিক ও ওমরাযাত্রীদের ওপর জুলুম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩০% ওমরা ও হজযাত্রী পরিবহন করে। বাকি ৭০% যাত্রী পরিবহন করে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। এতে ভাড়া বাবদ কোটি কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিমানের অযৌক্তিক ভাড়া প্রত্যাহার এবং বিমানের দুর্নীতিবাজ সেলস কর্মকর্তাদের কারণে প্রতি ফ্লাইটে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ জনের সিট খালি যাচ্ছে। যা জাতীয় সম্পদের বিশাল অপচয় হচ্ছে। এসব অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। টিকিট সিন্ডিকেট চক্র ওমরাযাত্রীদের কাছে চড়া দামে টিকিট বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব টিকিট সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধি ও দন্ডবিধির অধীনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওমরাহ

১৪ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ