মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। শুক্রবার পশ্চিম তীরের বিভিন্ন গ্রামে বাড়িঘর ও যানবাহন ভাঙচুর এবং অন্তত দুই ব্যক্তিকে পিটিয়েছে তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে পশ্চিম তীরের এক ইসরাইলি বসতির কাছে এক বসতি স্থাপনকারী নিহত হওয়ার জেরে এই হামলা চালানো হয়। নাবলুসের কাছে অবস্থিত ওই বসতির কাছে এই হামলায় আরো দুই ব্যক্তি আহত হন।
ইসরাইলি বসতি স্থাপন কার্যক্রম নজরদারি করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) কর্মকর্তা গাসসান দাগলাস জানান, শুক্রবার সকালে নাবলুসের কাছে বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গ্রামে দল বেধে বসতি স্থাপনকারীরা প্রবেশ করে এবং বাড়িঘর ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এই সময় তারা দুই ফিলিস্তিনিকে পেটায়। পিটুনিতে আহত এই দুই ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দাগলাস জানান, কারইউত গ্রামে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং ওয়ায়েল মাকবাল নামের ওই গ্রামের এক বাসিন্দাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। গ্রামবাসীরা বাধা দিলে ওয়ায়েল মিকবালকে ফেলে যায় বসতি স্থাপনকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহত মিকবালের ছবি ও কারইউত গ্রামে বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে নাবলুসের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বুরকা গ্রামের কাউন্সিল প্রধান জিহাদ সালাহ তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বসতি স্থাপনকারীরা তাদের গ্রামে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, তারা গ্রামের ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে ঢিল ছোড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গ্রাম ও ইসরাইলি বসতিগুলোর মধ্যে সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের হামলার সাথে জড়িত ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের এখনো গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। ইসরাইলি নেতারা হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রতিজ্ঞা করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি-ইসরাইলিদের মধ্যে চলমান সহিংসতায় নতুন করে এই ঘটনা ঘটলো।
গত মাসে জেরুসালেমে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পর পর দুইবার ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে হামলা হয়।
অপরদিকে চলতি মাসেই পশ্চিম তীরে অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি সৈন্যরা।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীর দখল করে ইসরাইল। ওই সময় থেকে ইসরাইলি নাগরিকরা পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন শুরু করে। দখলকৃত ভূমিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ হলেও এখনো পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করে চলেছে ইসরাইলি বাহিনী।
১৯৯৩ সালে অসলো শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম তীর থেকে ধীরে ধীরে ইহুদি বসতি সরিয়ে নিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের কথা থাকলেও ইসরাইল এই বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি। উপরন্তু পশ্চিম তীরে নতুন নতুন অবৈধ বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে জেরুসালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২৫৬টি বসতিতে প্রায় সাত লাখ ইসরাইলি ইহুদি বাস করছে। সূত্র : আলজাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।