পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপনে সরকার পৈশাচিক উল্লাস করেছে বলে মস্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের(ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
বিজয় দিবসে শরীয়তপুর,জামালপুর, রাঙামাটির লংগদু, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ,যুবলীগের হামলার অভিযোগ এনে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গণ অধিকার পরিষদের ‘মোমবাতি প্রজ্বলন’ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মসূচিতে সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও শেশাজীবী অধিকার পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন।
নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সরকারের উপর পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ভর করেছে। যেখানে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে একটা স্বৈরাচার সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বিজয় উৎসবে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার নৈতিক অধিকার কি আছে? আমাদের হক নষ্ট করে, আমাদের উপর গুলি চালিয়ে জুলুম করে স্বাধীনতার পৈশাচিক উল্লাস করেছে। এদের কোন নৈতিক ভিত্তি নেই, এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। তিনি আরো বলেন, বিজয় দিবসে দলমত নির্বিশেষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানো ই ছিল আমাদের লক্ষ্য কিন্তু বর্তমান সরকারের গুণ্ডা বাহিনী যেখানে ভিন্নমত সেখানে হামলা করেছে।
পাকিস্তানি শাসকদের বর্বরতাকে অতিক্রম করে গেছে। পাকিস্তান আমলে এরকম ঘটনা ঘটে নাই।এ সরকার মুক্তিযু্দ্েধর দাবিদার হলেও তারা কি আদৌও মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় আছে? প্রশ্ন তুলেন নুরুল হক নুর।
সাবেক এই ভিপি বলেন,স্বাধীনতার ৫০ বছরে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আসে। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ছিল শোষণ বঞ্চনা বৈষম্য মুক্ত সাম্য মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিট। সারাবিশ্বে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহকে নিয়ে আমেরিকাতে সম্মেলন হয়েছে, আমাদের বিনা ভোটের মাফিয়া সরকারের এ রাষ্ট্রকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করছে। যেকারণে আমরা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাতারে আমাদের নাম লেখা হয় নি।
দেশের জনগণ বিজয় দিবসের এ শপথ গ্রহণ করে নি উল্লেখ করে নুর বলেন, দেশের জনগণ এই ফ্যাসিবাদ সরকারের শপথ বর্জন করেছে। আমরাও সেই শপথে থুথু দিলাম। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার শপথ গ্রহণ করার আহবান জানান নুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।