২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বিশ্বের ১৯০টি দেশের প্রায় ১১ লক্ষ রুগী প্রতি বছর মেডিক্যাল টুরিজমে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে সেবা নেয়। এই রুগী ও তাদের সাথের আত্মীয়দের সহজ সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালটির আধুনিক অনলাইন সেবার পাশাপাশি ২০টি দেশে ৩২টি রেফারেল সেন্টার কাজ করছে। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশি রুগীদের জন্য কাজ করছে ঢাকার রেফারেল সেন্টারটি। রুগীদের পাশাপাশি সময়ে সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও হাসপালটির সেবা সম্বন্ধে অবগত করছে এই রেফারেল সেন্টারটি। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে এসেছেন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে। কিন্তু করোনার কারনে এটা এখন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তাদের আন্তরিকতার অভাব নাই। তাইত এবার তারা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য বেছে নিয়েছে, অনলাইন প্লাটর্ফকে। সম্প্রতি তারা ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজন করেছে লাইভ একটি অনুষ্ঠানের।
এবারের নির্বাচিত বিষয় ছিল কার্ডিওথোরাসিক সার্জারী। এখানে বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য চিকিৎসকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন টেলিমেডিসিন চিকিৎসা প্রার্থী কয়েকজন রুগী। যারা করোনা পরিস্থিতির কারনে সশরীরে হাসপাতালটিতে উপস্থিত হতে পারেননি। বাংলাদেশে রেফারেল সেন্টারটির দ্বায়ীত্বপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার এন. এম. এম. কামালুর রহমান ভুঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের এবারের আলোচক ছিলেন, ডা. পাট্টানাসাক লার্টপ্রডিট। থাইল্যান্ড থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছিলেন মিস. অ্যানা ডেইল। ৪০ বছরের অভিজ্ঞ দেশ বিদেশের অনেক সেন্টারে কাজ করা এই চিকিৎসক প্রথমেই সবাইকে ধারনা দিলেন তাদের সেন্টারের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারীর কর্মপরিধি সম্পর্কে। তাদের এই হাসপাতালে বর্তমানে, বিশ্বমানের হার্টের বিভিন্ন অপারেশন, হার্টে বিভিন্ন ধরনের সহকারী ডিভাইস সংযোজন, বাচ্চাদের হার্টের জন্মগত ত্রুটির অপারেশন এবং বুকের ও ফুসফুসের অনেক জটিল অপারেশনই হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কারনে এখন বিদেশের অনেক রুগীরাই আবার এসব সুযোগ নিতে পারছেন। বাংলাদেশি রুগীদের জন্যও আবার তাদের দরজা খোলা হয়েছে। রেফারেল সেন্টারটি হাসপাতাল সেবার পাশাপাশি ভিসা প্রাপ্তি, যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার ব্যাপারেও সকল সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে।
ডা. পাট্টানাসাক জানান, তারা জন্মগত ক্রুটি নিয়ে জন্মানো এএসডি, ভিএসডি, পিডিএ রুগীদের ট্রান্সক্যাথেটার অপারেশন ও প্রয়োজনে ওপেন সার্জারী করে থাকেন। তাদের সেন্টারে জটিল জন্মত্রুটি মেরামতের অত্যাধুনিক ফন্টান অপারেশনেরও ব্যবস্থা আছে। সকল প্রকার হার্টভাল্বের অপারেশনও এই সেন্টারে চলমান। এওর্টিক ভাল্বের মেরামত, পরিবর্তনও ট্রান্সক্যাথেটার পদ্ধতি ও ওপেন সার্জারী পদ্ধতিতে হচ্ছে। মাইট্রাল ভাল্বের অপারেশন, পরিবর্তন, মাইট্রাক্লিপ ইত্যাদি অপারেশন এখনে সহজলভ্য। মেকানিক্যাল ও টিসু ভাল্ব দুই ধরনের রিপ্লেসমেন্ট অপারেশন এখানে হয়।
হার্ট ফেইলুরের রুগীদের জন্য অত্যাধুনিক ভেন্ট্রিকুলার এসিস্টিভ ডিভাইস হার্টমেট-৩ প্রতিস্থাপন ও হার্ট ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশন তাদের সেন্টারে চলমান আছে। এওর্টিক এনিউরিজমের সকল প্রকার মেরামত তারা করছেন। বহুল প্রচলিত করোনারি আর্টারি ডিজিজের সকল ধরন, অর্থাৎ এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, স্টেন্টিং, বাইপাস, পিসিআইয়ের সকল অত্যাধুনিক পদ্ধতিই তারা এখন প্রতিনিয়ত রুগীদের চাহিদামত সেন্টারটিতে করে যাচ্ছেন। খুব শিঘ্রই তাদের কার্ডিওথোরাসিক বিভাগে অন্য বিভাগের আদলে রোবটিক হার্ট সার্জারী শুরু হবে বলে তিনি জানালেন।
হার্টের অপারেশন ছাড়াও শ্বাসনালীর চিকন হয়ে যাওয়া, বুকের টিউমার, ফুসফুসের বিভিন্ন রকমের অপারেশনও বামরুনগ্রাড হাসপাতালে প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ফুসফসের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ, একটা পুরা লোব বা সম্পূর্ণ একটা ফুসফুস ফেলে দেয়ার অপারেশনও এখানে হচ্ছে।
তাই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ পেতে যে কেউই যোগাযোগ করতে পারেন, মি. দেলওয়ার ও মি. রোকনের মত নিবেদিতপ্রান কর্মকর্তাদের সাথে। বামরুনগ্রাড সার্ভিসেস বাংলাদেশ, স্যুট-৩, লেভেল-১১, ইউটিসি ৮, পান্থপথ, ঢাকা। ফোন-২২২২৪৬৭১৫, ০১৭১৩০২৭৬২৮, এই ঠিকানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।