পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় দেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ হয়েছে বলে মনে করে বিএনপি। একই সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেও দলটি মন্তব্য করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে পুলিশ প্রধান ও র্যাবের ৭কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি হওয়ারই কথা। এটি তাদের পরিণতি। আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমরা বলে আসছি, এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, র্যাব-পুলিশকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করছে। আজকে তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা দেখতে চাই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভ‚মিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এটির আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, বিএনপির যে রাজনীতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে পতাকা তুলে ধরেছেন তা বাংলাদেশের জনগণের রাজনীতি। মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে একটিমাত্র কারণে, তা হলো বিএনপি এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের কথা বলে। বিএনপি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে। মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সুসংঘটিত হচ্ছে। সুতরাং ওই চিন্তা করে কোনো লাভ নাই। প্রতিদিন প্রতি মুহ‚র্তে শতশত জিয়াউর রহমান তৈরি হচ্ছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ প্রধান র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত লজ্জাজনক। গতকাল জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, গতকাল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। আমরাও পালন করেছি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা থেকে একটি ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশের র্যাব সম্পর্কে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। বাংলাদেশের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেদেশে প্রবেশের নিষেজ্ঞাধা জারি করেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ তারা মনে করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ নয়। আমরা বারবার বলেছি, গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। একটি দল গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ভুলণ্ঠিত করছে।
অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জানে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে। তারা জানে, ইলিয়াস আলী-চৌধুরী আলম-সাইফুল ইসলাম হিরুসহ আরও অনেকে নেই কেন, এটার সঙ্গে কারা জড়িত। একটা কথা মনে রাখা উচিত, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয়ে যায় না। জতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বক্তব্যের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলো তো আপনাদের মতো চোখ বন্ধ করেনি। তারা জানে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের গুরুত্ব হচ্ছে, দিবসটির উদ্দেশ্য হচ্ছে- কারও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়। দেশে দেশে প্রত্যেকটি মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘ এ দিবসটি পালন করে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। বাংলাদেশের সরকারের কীসের উদ্বুদ্ধ হওয়া? তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার (শেখ হাসিনা) ক্ষমতার হরিণ চাই- এই যার নীতি তার তো একটাই লক্ষ্য, তার বিরুদ্ধে যেন কোনো আওয়াজ না হয়। তার বিরুদ্ধে কেউ যেন কোনো কথা বলতে না পারে। তার পথে কেউ যেন কাঁটা হয়ে না থাকতে পারে, সেটার জন্য তার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা।
রিজভী বলেন, বিশ্ব নাগরিকরা, সুশীল সমাজ, জাতিসংঘ কে কী বললো এতে তার (প্রধানমন্ত্রীর) কিছু যায়-আসে না। তার মূল লক্ষ্য, তাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথে বাধা মনে করেন শেখ হাসিনা। তাই শেখ হাসিনার কাছে খালেদা জিয়ার কোনো মানবাধিকার থাকতে নেই, নাগরিক হিসেবে কোনো অধিকার থাকতে নেই, চিকিৎসার অধিকার থাকতে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।