নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টোকিও অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রতিনিধিত্ব করা জহির রায়হানকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অ্যাথেলেটিক্স ফেডারেশন। তার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ধর্ষণের অভিযোগ।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম মন্টুর নামে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অ্যাথলেট জহির রায়হান গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগও করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জহির রায়হানের নৈতিক স্খলন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বের বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে বহিষ্কারসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারবেন না এই দৌড়বিদ।
২০১৯ সালে এক নারী অ্যাথলেট জহিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। মামলা করেন গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে। সেখানে বাদী বলেন, ২০১৭ সালে সাভার বিকেএসপিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস দলের প্রশিক্ষণ চলাকালে জহিরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ৩ মে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জহির তাকে ধর্ষণ করেন। সেই মামলায় বুধবার গাজীপুরের নারী ও শিশুবিষয়ক ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জহির আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে হাজতে প্রেরণ করা হয়।
জহিরের বিরুদ্ধে আরো এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী গত ২ সেপ্টেম্বর জহিরের কর্মস্থলে লিখিত অভিযোগে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় ও পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুবার তাকে ধর্ষণ করেছেন জহির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।