মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভিডিও লিংকে এক বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন যে, মস্কো যদি ইউক্রেনকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে তবে মস্কো মারাত্মক অর্থনৈতিক শাস্তির সম্মুখীন হবে। তবে ন্যাটোর সম্প্রসারণ সম্পর্কে রাশিয়ার উদ্বেগগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য সম্ভাব্য আলোচনার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন তিনি। বাইডেন বলেছেন যে, তিনি মঙ্গলবার তাদের আলোচনার সময় রাশিয়ান নেতাকে সতর্ক করে করেছেন যে, তিনি ইউক্রেন আক্রমণ করলে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
মঙ্গলবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের টানা দু’ঘণ্টার বৈঠকে ইরানের পরমাণু কর্মস‚চি, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়ে দুই নেতা আলোচনা করলেও ভার্চুয়াল বৈঠকে বুধবারের বৈঠকে প্রথম থেকেই প্রাধান্য পায় রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত সমস্যা। বাইডেন বলেন, ‘নম্রতার সাথে হলেও আমি এটা খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে যদি তিনি ইউক্রেন আক্রমণ করেন, তাহলে পরিণতি হবে গুরুতর, ভয়াবহ। অর্থনৈতিক পরিণতি, যা আপনি কখনও দেখেননি। আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে, তিনি বার্তাটি পেয়েছেন।’
রাশিয়াকে থামানোর জন্য মার্কিন সেনা মোতায়েন করবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘এটি আলোচনায় নেই।’ তিনি বলেছেন যে, ন্যাটো মিত্ররা যদি আক্রমণের শিকার হয় তবে তাদের রক্ষা করার মার্কিন বাধ্যবাধকতা ইউক্রেন পর্যন্ত সম্প্রসারিত নয়, যা আটলান্টিক সামরিক জোটে নেই। এদিকে বাইডেন ছাড়াও নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়াকে ম‚ল্য দিতে হবে বলে সতর্ক করেন। তিনি জার্মানীতে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী রুশ প্রকল্প নর্ড স্ট্রিম টু এর পরিণতি নিয়ে পুতিনকে হুঁশিয়ার করেন। এছাড়া ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে রাশিয়াকে কৌশলগত ও ব্যাপক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলেও সতর্ক করেছে।
বাইডেন বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্ররা এবং রাশিয়া ন্যাটোর সম্প্রসারণ সম্পর্কে মস্কোর অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য আলোচনায় বসতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি শুক্রবারের মধ্যে আমরা বলতে সক্ষম হব, আপনাকে ঘোষণা করব যে, আমরা উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করছি, শুধু আমাদের সাথে নয়, আমাদের অন্তত চারটি প্রধান ন্যাটো মিত্রের সাথে এবং রাশিয়ার সাথে ন্যাটোর সম্প্রসারণের সাথে সম্পর্কিত রাশিয়ার উদ্বেগের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করার জন্য এবং প‚র্ব ফ্রন্টে (ইউক্রেনে) উত্তেজনা কমিয়ে আনার সাথে সম্পর্কিত সমঝোতার জন্য।’
চলতি বছরের গোড়া থেকে তাদের সীমান্তে রাশিয়া অন্তত এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন। যে কোনও সময়ে মস্কো তাদের ওপর হামলা চালিয়ে গোটা ইউক্রেন দখল করে নেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কিভ। উল্টো দিকে, ইউক্রেন প্রতি পদে মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে মস্কো।
ইউক্রেন আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা অস্বীকার করে তারা বলেছে যে, এটি রাশিয়াকে বদনাম করার জন্য একটি প্রচারণার অংশ। আত্মপক্ষ সমর্থন তারা বলেছে যে, আত্মরক্ষার্থে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা সীমান্তে যে সেনা মোতায়েন করেছে, তা ইউক্রেন ও তার মিত্র শক্তির আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে। তারা আশংকা করছে, এক সময়ের সোভিয়েত রিপাবলিক ইউক্রেনকে ন্যাটোর জোটে টেনে নেয়া হচ্ছে।
এপ্রেক্ষিতে, ন্যাটো বাহিনীর সমরাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে পাল্টা বাইডেনকে চাপ দিয়েছেন পুতিনও। তিনি বলেছেন যে, মস্কো তার প্রতিবেশীর প্রতি ন্যাটোর সম্ভাব্য সম্প্রসারণের বিষয়ে উদাসীন থাকতে পারে না। পুতিন বলেন, ‘প্রত্যেক দেশের অবশ্যই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায় বেছে নেওয়ার অধিকার আছে, তবে এটি এমনভাবে করা উচিত যাতে স্বার্থ লঙ্ঘন না হয় এবং অন্যান্য দেশের, এই ক্ষেত্রে রাশিয়ার নিরাপত্তাকে ক্ষুন্ন হয়।’ পুতিন অবশ্য তার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন যে, মস্কো কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি নিরাপত্তা সংলাপের প্রস্তাব জমা দেবে। সূত্র: এপি, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।