বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব ও এমপি হারুন অর রশিদের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতের দেয়া দন্ডাদেশ বহাল রয়েছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান জানান, তিনি ইতিমধ্যে এ মামলায় ১৬ মাস হাজতবাস করেছেন। এ সময়টা তার ‘সাজা’ হিসেবে গণ্য হবে। তাকে নতুন করে আর কারাগারে যেতে হবে না।
আদালত হারুন অর রশিদের আপিল খারিজের পাশাপাশি মামলার আরও দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের আপিলও খারিজ করে দিয়েছেন। তাদেরও আর কারাগারে যেতে হবে না। হারুনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন খুরশিদ আলম খান।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর এমপি হারুন অর রশিদ এমপিকে ৫ বছরের দন্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। এ মামলায় চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
অপর আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। শূল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করে তিনি বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, এমপি থাকাবস্থায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিন জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের তৎকালিন সহকারি পরিচালক মোনায়েম হোসেন।