বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি ও নারী ধর্ষণের দায়ে পৃথক ধারায় পাঁচ জনকে দুই বার করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে প্রত্যেক আসমিকে ৬০ বছর করে কারাদ- ভোগ করতে হবে। একই রায়ে আদালত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মো. মঈন উদ্দীন এ রায় দিয়েছেন। দ-িতরা হলেন- মিজান মাতব্বর, আবু সামা, মহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, ইলিয়াছ শেখ ও আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মেম্বার। এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান খালাস পেয়েছেন। ছয় আসামির মধ্যে ইলিয়াছ শেখ পলাতক আছেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডাকাতির দায়ে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ডাকাতির সময় নারী ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক। রায় অনুযায়ী, দুই ধারায় তাদের ৩০ বছর করে মোট ৬০ বছর কারাদ- ভোগ করতে হবে।
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের হয়। ঘটনার ২১ মাস পর ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে ছয় জনকে আসামি করা হয়, যাদের মধ্যে পাঁচ জনকে পিবিআই গ্রেফতার করেছিল। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণে মোট ২১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পিপি নজরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।