পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) অনুকূলে গ্রাহককে ৫টির বেশি সিম না দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) থেকে জানানো হয়েছে, তারা একটি এনআইডির অনুকূলে বর্তমানে ১৫টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে। বেশি বেশি সিম নিয়ে তা অপব্যহারের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য আমরা এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। অবশ্য নিয়মিত কর প্রদানকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হয়তো এই সংখ্যা আরও বাড়ানে যেতে পারে। বিটিআরসি তাদের সঙ্গে একমত হয়েছেএ
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সার্বিক স্বচ্ছতা ও পাওনা আদায়ের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তিগুলো ত্রিপক্ষীয় সভার মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলো দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়। আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ এবং মুহিবুর রহমান মানিক।
কমিটির সভাপতি বলেন, তারা শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আমাদের অবহিত করেছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুকূলে কতগুলো সিম সংগ্রহ করা যাবে এ বিষয়ে আগে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। এ কারণে একটি এনআইডির অনুকূলে অসংখ্যা সিম গ্রহণের ঘটনা এক সময় ঘটেছে। এসব সিমের অনেকগুলো নানা ধরনের সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজেও ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়। যার কারণে ২০১৬ সালের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহক প্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে। পরে ওই বছরের ৪ আগস্ট এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তা বাড়িয়ে ১৫টি নির্ধারণ করে। বর্তমানে এই নিয়ম বহাল রয়েছে। এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুকূলে সাময়িকভাবে সর্বোচ্চ দুটি করে সিম সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। সাময়িকভাবে প্রাপ্ত এসব সিম একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। না হলে সেগুলো অকার্যকর হওয়ার বিধান রয়েছে। ফিরোজ জানান, তারা অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলেছে। এ ক্ষেত্রে কেবল জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দরকার হলে লাইসেন্স বাতিল করতে বলেছে। এছাড়া তারা মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বকেয়া আদায়সহ গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।