বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাঠে চলছিল পাকা আমন ধান কাটার কাজ। বেশীরভাগ কাটা ধান ছিল জমিতেই। যুগ যুগ ধরে কৃষকরা এভাবেই ধান কাটে। পর্যায়ক্রমে কাটা ধান তারা ঘরে তোলে। এই সময়টুকু রৌদ্রে ধানগাছ সামান্য শুকিয়ে গেলে মাড়াই করার উপযোগী হয়ে ওঠে। গত দু’ দিনের টানা বৃষ্টি, আমন চাষীদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। কাটার পর যে ধান জমিতে ছিল, তার সবই ভেসে গেছে। আর যেগুলো কাটার অপেক্ষায় ছিল, তা নুয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানগাছ পাকা ধান সমেত নুয়ে পড়লে, অনেক ধানই শীষ থেকে ঝরে পড়ে। এবারও তাই হয়েছে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন, সমীর সাধু ও নিরাপদ সাধু জানান, ২৫ বিঘা জমিতে আমন লাগিয়েছিলেন। ধান কাটার কাজ চলছিল। অর্ধেক ধান কাটার পরে তা জমিতেই রাখা ছিল। সব ভেসে গেছে। আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। একই রকম কথা জানালেন তেরখাদা উপজেলার নেবুদিয়া গ্রামের কৃষক শরাফত লস্কর জানান, জমিতে পাকা ধান নুয়ে পড়ে তার লোকসান হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবার জেলায় ৯৩ হাজার ৩১৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। তবে হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হতে পারে।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, বৃষ্টিতে আমন ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। দু’ একদিনের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ৪৮ ঘন্টায় খুলনায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।