পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ প্রতিবারই ষড়যন্ত্র করে এদেশে ক্ষমতায় এসেছে, অন্যদিকে বিএনপি বিপুল ভোটের জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসে জনকল্যাণে গণতন্ত্র সুরক্ষায় কাজ করেছে। তাদের মত দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় আসে নাই। অবৈধ খুনি আর লুটেরা সরকার নির্বাচনকে ভয় পায়। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগসহ মুক্তির দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মহানগরীর জেলা স্কুল মাঠে বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিলে তাকে যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে তা প্রকাশ পেয়ে যাবে বলেই সরকার অনুমতি দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা সরকারের কাছে কোন কিছু দাবি করে লাভ নেই। শেখ হাসিনা নিজেই কানে শোনে না বলে দেশের মানুষের কথা তিনি শুনতে পান না বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশি ক্ষমতা দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এতই জনপ্রিয়তা থাকলে ভোটের মাঠের লড়াইয়ে আসারও আহবান জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগ ছিল না, ছিল বাকশালের একদলীয় শাসন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার অধিকার তৈরি করে দিয়েছিলের বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মুুনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম), কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন, নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন, সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সহ সম্পাদক মনির হোসেন।
দুপুর ২টায় সমাবেশের সময় নির্ধারিত থাকলেও সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর দেড়টায় জুমা নামাজ শেষ হবার সাথে সাথে নগরী ছাড়াও আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকেও দলে দলে মানুষ সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। দুইটার পরেই নগরীর জেলা স্কুল মাঠ ছাড়াও পাশের সদর রোড, শহীদ নজরুল সড়ক ও ক্লাব রোড লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। ৩টার পরে ঈদগাহ ছাড়িয়ে সংলগ্ন বাঁধ রোডের বড় অংশজুড়ে জনতায় সয়লাব হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পরে বরিশাল মহানগরীতে প্রধান বিরোধী দলের এ সমাবেশ সাধারণ মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট আগ্রহের সৃষ্টি করে।
সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভাগের ৬ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা রওনোকুল ইসলাম টিপু, বরিশাল মহানগর বিএনপি প্রথম যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আলি হায়দার, আলমগীর হোসেন, দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ, মিজানুর রহমান মুকুল, আ. হালিম, স্বেহাং সরকার কুট্টি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।