বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তকালীন জামিন পেয়েছেন খুলনা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৩ শীর্ষ নেতা। আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিজ্ঞ বিচারপতি মো: হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো: রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানী শেষে আগামী ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মহানগর বিএনপির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর বিএনপির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আজিজুল হাসান দুলু, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজা খানম এলিজা, মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুবু হাসান পিয়ারু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, সদস্য সচিব মো: তাজিম বিশ্বাস ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলান আহমেদ সুমন।
মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিষ্টার শফিউল আলম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান।
উল্লেখ্য, খুলনায় ২২ নভেম্বর সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাঁধা দিলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। অনুমতি না থাকার অজুহাতে পুলিশ রাস্তা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সকাল ও বিকেলে কয়েক দফা সংঘাত সৃষ্টি হয়। পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও রাবার বুলেটে অর্ধ শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী আহত হন। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পাঁচ সাংবাদিকও আহত হন। ওই রাতে খুলনা থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়, যার নম্বর-৩৬ ও ৩৭।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।